প্রকাশিত: ২৪/০২/২০২০ ৪:০২ পিএম

রিয়াজুল হাসান খোকন, বাহারছড়া, টেকনাফ
টেকনাফ উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রশিদ আহমদের পূত্র ফার্মেসী ব্যবসায়ী আবদুল মাবুদ হত্যার প্রতিবাদে ও বিচার চেয়ে স্থানীয় শামলাপুর বাজার প্রাঙ্গনে বিশাল মানব বন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। উক্ত মানব বন্ধনে অংশ গ্রহন করেন এলাকার মুরুব্বি সমাজ, যুব সমাজ, ও ছাত্র সমাজ সহ শত শত মানুষ। মানব বন্ধনে অংশ নেওয়া সকলের একটাই দাবী এলাকার সহজ সরল ভদ্র মানুষ নামে পরিচিত আবদুল মাবুদের হত্যাকারীদের যেন শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হয়। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে প্রশাসন যেন আন্তরিক ভাবে কাজ করে।

জানা যায় জমি সক্রান্ত বিরুধে বিচার সালিশের মধ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ শামলাপুর পুরান পাড়ার মৃত নুরুন্নবীর পূত্র মানব পাচারকারী জামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে তিন সন্তানের জনক আবদুল মাবুদ সহ তার আরো চার ভাইয়ের উপর নির্মম ভাবে হামলা করে। এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দীন ও অন্যান্য বিচারকরাও তাদের সামনে অসহায় ছিল বলে সূত্রে জানা যায়। ঘটনাস্থলে বিচারকদের কথামত আবদুল মাবুদের পরিবার কাউকে আঘাত না করলেও মাবুদ সহ তার ভাইদের উপর বিচারকদের সামনে কোনো কথা না মেনে সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে হামলা করে। এতে বিশেষ করে আবদুল মাবুদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা সহ ভারী লাঠির আঘাতে তার মাথা তেঁতলে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে উপস্থিত বিচারকরা আবদুল মাবুদ সহ তার আরো চার ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে আবদুল মাবুদ ও তার ছোট ভাই আবদুল মাজেদের অবস্থা আশংঙ্কা জনক হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্রগ্রামে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করে। সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল মাবুদ গত ৮ ফেব্রুয়ারী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তখন তার মৃত্যুতে এলাকায় যেন একটি শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। গুরুতর আহত তার আরো তিন ভাইয়ে অবস্থা এখনো আশংঙ্কা জনক বলে মাবুদের পরিবার সূত্রে জানা যায়।

অন্যদিকে আবদুল মাবুদকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যার বিচার চেয়ে তার আরেক ছোট ভাই মোঃ রাশেদ বাদী হয়ে হামলার নেতৃত্বদানকারী জামালকে এক নাম্বার সহ মোট ১৫ জনকে আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় গত ১০ ফেব্রুয়ারী একটি হত্যা মামলা দায়ের করে যার নাম্বার ২৭/২০। মামলাটি দায়ের পর এখনো কোনো আসামী গ্রেফতার হইনি। আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালাতক রয়েছে বলে এলাকার বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। তাই এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের দাবী প্রশাসন চাইলে সবকিছু সম্ভব। প্রশাসন আন্তরিক ভাবে কাজ করলে আসামীরা একদিন ঠিকই ধরা পড়বে বলে দাবী তাদের। বিশেষ করে টেকনাফে বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে প্রশাসন যেভাবে কঠোর অবস্থানে আছে সেখানে মাবুদ হত্যাকারীরাও সর্বোচ্চ আইনের আওতায় আসবে বলে বিশ্বাস বাহারছড়াবাসীর। আর উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাহারছড়া ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম, শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও টেকনাফ জাতীয় পার্টির আহবায়ক মাষ্টার এম,এ মনজুর আলম, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান, সাবেক মেম্বার ছৈয়দুল ইসলাম, শামশুল ইসলাম, মোঃ ইসলাম, জাপা বাহারছড়া ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ আবদুল জাব্বার, যুবলীগ নেতা এটিএম শামশুল আলম, কমিনিউটি পুলিশিং ফোরামের বাহারছড়া ইউনিয়ন সভাপতি আজিজ উল্লাহ সহ প্রমুখ। এ ব্যাপারে বাহাছরড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন আবদুল মাবুদ হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। হত্যাকারীরা যেখানে থাকুক না কেন আমরা জোর চেষ্টায় তাদের বের করব।

পাঠকের মতামত

উখিয়া উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলন: সরওয়ার সভাপতি, সুলতান সম্পাদক

উখিয়া উপজেলা বিএনপির বহুল প্রতীক্ষিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি ...

পটিয়া থেকে প্রত্যাহার হওয়া সেই ওসিকে টেকনাফে পদায়ন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রত্যাহার হওয়া পটিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ...