প্রকাশিত: ২৮/০৭/২০১৯ ৩:২৯ পিএম , আপডেট: ২৮/০৭/২০১৯ ৩:৩১ পিএম

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজার জেলায় ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে ১০ জন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। ভর্তিকৃতদের একজনকে ২৭ জুলাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হলে পথিমধ্যে ঐ ডেঙ্গু রোগী মারা যান। ডেঙ্গু’র হিংস্র থাবায় প্রাণ হারানো রোগী হচ্ছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার প্রধান সহকারী মংবা অং মংবা ও ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকতা ম্যা ম্যা চি’র কন্যা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী বিষয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী উথিংনু নুশাং। মারা যাওয়া নুশাং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে কক্সবাজার এসেছিলো। জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নেওয়া ও ভর্তি থাকা সকলেই কক্সবাজার জেলার বাইরের লোক। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া মহিলা রোগী সহ সকলেই কক্সবাজারের বাইরের এলাকা থেকে আসা, বিশেষ করে ঢাকা ও আশে পাশের এলাকা থেকে ডেঙ্গু জীবানু শরীরে বহন করে এনেছেন। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা ২ জনই একজন ঢাকা ও অপরজন নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা। কক্সবাজার জেলার কোন নাগরিক কক্সবাজারেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুল মতিন ও কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুল মতিন বলেন-রোববার বেলা ২ টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার কোন উপজেলা হাসপাতালে কোন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। জেলা সদর হাসপাতালের তত্বধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন উখিয়া নিউজ ডটকমকে বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জরুরী চিকিৎসা দিতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আলাদা স্পেশাল ‘ডেঙ্গু টিম’ গঠন করা হয়েছে। বাই রোটেশনে ২৪ ঘন্টা এই ‘ডেঙ্গু টিম’ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছে। জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রয়েছে। তাই রোগীদের আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। ডেঙ্গু বা জ্বর হলে কোন অবস্থায় ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম জাতীয় কোন ব্যাথার ওষুধ না খাওয়ার জন্য রোগীদের পরামর্শ দিয়ে সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, রাতে ও দিনে সবসময় মশারী ব্যবহার করাই এখন উত্তম। ইনশাল্লাহ কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগ স্বাস্থ্য বিভাগের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে উল্লেখ করে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুল মতিন বলেন-বাড়ি ঘর, অফিস আদালত, সকল জায়গার আশেপাশে ঝোপঝাড় ও জমে থাকা হালকা পানি পরিস্কার রাখলে ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। এবিষয়ে জনসাধারণকে আরো বেশী সচেতন হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ প্রতি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

উপকূলের ম্যানগ্রোভে বিশ্বস্বীকৃতি—দ্য আর্থশট প্রাইজ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। ...

রোহিঙ্গার হাতে এনআইডি : নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আসামি চসিকের কর্মচারীও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবহার ...

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...

রোহিঙ্গা নারীকে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত

এক রোহিঙ্গা নারীকে অবৈধভাবে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ...