প্রকাশিত: ১৫/০৮/২০১৮ ৭:৫১ এএম , আপডেট: ১৬/০৮/২০১৮ ১১:২২ পিএম

নিউজ ডেস্ক::

শিগগিরই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত সব রিক্রুটিং এজেন্সি।মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব অনুমোদিত এজেন্ট বিদেশে কর্মী পাঠায়, শিগগির তাদের সবাইকে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণের অনুমোদন দেওয়া হবে। এর আগে মাত্র ১০টি এজেন্সির মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনুমোদন ছিল। মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন, সবাইকে এই সুযোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে ‌এজেন্সিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থা সৃষ্টি হবে, যা কর্মীদের জন্য ইতিবাচক হবে।

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পদ্ধতি চলমান থাকাকালে ২০১৬ সালে বেসরকারিভাবেও কর্মী নিয়োগের সুযোগ রেখে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগে দুই দেশের সরকার চুক্তি করে। তখন আবেদনপত্রের (এসপিপিএ) মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা সংস্থা কেবল বাংলাদেশের অনুমোদিত ১০টি এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর সুযোগ দিতো। এতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে মালয়েশিয়া কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেয়।

মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনা শীর্ষক এক বৈঠকে মাহাথির জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। মালয়েশিয়াকে জানানো হয়েছে, মাত্র ১০টি এজেন্সি একচেটিয়া কর্মী পাঠানোর সুযোগ পায় বলে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু বাংলাদেশি কর্মীদের জনপ্রতি ২০,০০০ মালয়েশীয় রিঙ্গিত পর্যন্ত দিতে হয় এজেন্সিগুলোকে। আমরা সমস্ত এজেন্ট পর্যন্ত এটি বিস্তৃত করতে চাই যেন সেখানে প্রতিযোগিতা থাকে।

মাহাথির আরও বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশে বিদেশি কর্মীদের বিভিন্ন বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে চান তিনি। যে দেশ থেকেই কর্মী নিয়োগ দেওয়া হোক না কেন, সবাইকে ওই স্বাধীন কমিশনের একক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে চান তিনি। মাহাথির জানান, একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ওই কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মীদের নীতি ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখাশোনা করা হবে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণের প্রতিও নজর রাখা হবে।

২০১২ সালে দুই দেশ শুধু সরকারি মাধ্যমে জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে চুক্তি সই করে। ২০১৬ সালের তা পরিমার্জন করে ১০টি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে জিটুজি প্লাসের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের শেষদিক থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়া গেছেন। এরমধ্যে ২০১৮ সালে জুলাই মাস পর্যন্ত ১ লাখ ৯ হাজার ৫৬২ জন শ্রমিক পাঠায় বাংলাদেশ।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ব্ল্যাকলিস্ট, তালিকায় এক ডজন দেশ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ ও ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ...

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ...