
বাংলাদেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম মুহাম্মদ আজিজ খান, পিবিএম। ব্যবসায়িক সুনামের জন্য সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বাংলাদেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুপরিচিত। তাঁর নিজে হাতে প্রতিষ্ঠা করা সামিট গ্রুপ এখন সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। তবে মুহাম্মদ আজিজ খান মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশেই ব্যবসা বিস্তৃত করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বেই সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারেও সামিট বর্তমানে কৌশলগত পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সম্পূর্ণভাবে সরকারের অধীনে, যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিতরণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ইতিমধ্যে সামিট এলএনজি খাতেও বিনিয়োগ করেছে।
বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপরই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে পূর্ববর্তী সরকারের শুরু করা বিভিন্ন প্রকল্প পুনর্মূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া একাধিক প্রকল্প ও আইন বাতিলও করা হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একইসাথে স্বস্তি এবং শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সিঙ্গাপুরে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের নিবন্ধন ও তার প্রভাব
বাংলাদেশ স্বাধীনের পরপরই ১৯৭৩ সালে সামিট গ্রুপের সূচনা হয়। তবে তখনও এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেনি। ১৯৯৫ সালের দিকে বাংলাদেশে মাত্র ২০-২৫% জনগণ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় ছিল। ১৯৯৭ সালে সামিট গ্রুপ প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। আর বর্তমানে বাংলাদেশে শতভাগ জনগণ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় এসেছে। মুহাম্মদ আজিজ খানের সফলতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তীতে আরও অনেক দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করেছেন। এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন “সেই সময় (১৯৯৭ সালে) বাংলাদেশের মাত্র ২০-২৫ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। সামিট গ্রুপ এই যাত্রার অংশীদার হতে পেরে একই সাথে আনন্দিত এবং গর্বিত।”
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যেকোনো প্রকল্প শুরু ও চলমান রাখতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। এজন্য মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরে সামিটের ব্যবসা সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেন যেন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যায়। এ ক্ষেত্রে সামিট সফল হয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করছে। আইএফসি এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সামিট গ্রুপের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মহলে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।
২০১৬ সালের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় যেমন, বাংলাদেশের তুলনায় সিঙ্গাপুরের জাতীয় ক্রেডিট রেটিং অনেক ভালো, আর্থিক প্রতিবেদনের নিয়মনীতি ও বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কারণে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের সদর দপ্তর সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। এ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, “সিঙ্গাপুরের কর্পোরেট সুশাসন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কারণে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আনা আমাদের জন্য সহজ হয়েছে। এসব বিনিয়োগ পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।”
জাপানের অন্যতম বৃহৎ কোম্পানি জেরা ২০১৯ সালে ৩৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে। যা প্রমাণ করে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনোয়োগের ক্ষেত্রে আস্থা ও উৎসাহ আছে।
প্রকল্প বাতিল ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) কক্সবাজারের মহেশখালীতে সামিট গ্রুপের দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি বাতিল করে। বাস্তবায়িত হলে এটি হতো দেশের তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল। সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুধু সামিট গ্রুপ ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি, বরং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সরকারের এলএনজি টার্মিনাল চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সামিট গ্রুপ আদালতে রিট করেছে। রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে গত ১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মহেশখালীতে তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল প্রতিষ্ঠার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া আপাতত চালিয়ে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
সামিটের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান
সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষায়িত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫৯০ মেগাওয়াটের সামিট মেঘনাঘাট–২ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আমেরিকার জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেশের কার্যকর ও সাশ্রয়ী বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এছাড়াও সামিট গ্রুপ নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারেও বিনিয়োগ করছে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, বাংলাদেশের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বড় আকারে সোলার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কঠিন। ফলে সোলার প্রকল্প স্থাপনের জন্য পতিত জমি পাওয়া চ্যালেঞ্জিং। এ ছাড়া বছরের বিভিন্ন সময় ভারী বৃষ্টি, কুয়াশা বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতি এসব প্রকল্পের অনুকূলে থাকে না। যে কারণে বাংলাদেশে অনেক সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সামিট গ্রুপের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গিঃ নবায়নযোগ্য শক্তি ও পরিকল্পনা
আগামী দিনে সামিট গ্রুপ শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই নয়, বরং গ্রিন এনার্জি ও বায়ুবিদ্যুতের মতো টেকসই জ্বালানি খাতেও নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে আগ্রহী। দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রস-বর্ডার এনার্জি ট্রান্সমিশন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সামিট গ্রুপের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সহজেই নবায়নযোগ্য শক্তি আদান-প্রদান সম্ভব। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে নবায়নযোগ্য শক্তির গুরুত্ব ব্যাপক। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারও নবায়নযোগ্য শক্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে, বিশেষ করে জলবিদ্যুৎ আমদানি ও সৌরশক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাইছে। তবে দেশে পতিত জমির অভাব ও প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য বড় আকারের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন কঠিন।
সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) আয়েশা আজিজ খান বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। এতে বাংলাদেশ লাভবান হবে। যদিও এটি বাস্তবায়নের জন্য আগে আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
এই বিষয়ে আয়েশা আজিজ খান আরও বলেন, “বাংলাদেশে স্বল্প খরচে টেকসই বিদ্যুৎ প্রয়োজন, যা আমাদের প্রতিবেশী দেশ যেমন ভূটান, নেপাল ও ভারতের নবায়নযোগ্য সৌর ও জলবিদ্যুৎ থেকে পেতে পারি। প্রতিবেশী দেশ থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ আমদানির উদাহরণ বিশ্বের বহু দেশেই আছে। আমাদের কেবলমাত্র ওইসব দেশের পদচিহ্ন অনুসরণ করতে হবে।”
বাংলাদেশে ন্যানো গ্রিড এবং সৌরশক্তির ব্যবহার
ন্যানো গ্রিড ও সৌরশক্তি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের অন্যতম সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। বাংলাদেশে জমি সংক্রান্ত অসুবিধার কারণে সৌরবিদ্যুতের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা একটু কঠিন হলেও ন্যানো গ্রিডের মত ছোট আকারের প্রকল্প সহজেই বাস্তবায়ন সম্ভব এবং জনসাধারণের জন্য যথেষ্ট কার্যকরী। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ন্যানো গ্রিড পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একটি মডেল তৈরি করেছে, যেখানে সৌরশক্তির মাধ্যমে ছোট পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। ফ্রেন্ডশিপ এনজিওর সহায়তায় বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত চর কাবিলপুরে সামিট গড়ে তুলেছে ‘সামিট-ফ্রেন্ডশিপ সোলার ভিলেজ’। এই ৫৭.৬ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ও বর্ধনশীল সোলার মাইক্রোগ্রিডের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত চর কাবিলপুরের তিন হাজার মানুষ উপকৃত হচ্ছে এবং পার্শ্ববর্তী ব্রহ্মপুত্র নদীর অন্যান্য চরাঞ্চলের জন্য একটি ব্যবসায়িক ও সেবার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুতের সহজলভ্যতা উন্নতীকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দাদের টেকসই সাহায্য প্রদানে কার্যকরী ফলাফল অর্জনের জন্য প্রকল্পটি সম্মানজনক রয়টার্স গ্লোবাল এনার্জি ট্রানজিশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর ‘প্রোজেক্ট অব ইমপ্যাক্ট’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে।
আয়েশা আজিজ খান এই প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলাদেশে ব্যবসা বৃদ্ধি জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখানে করপোরেট সুশাসন ও নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে। যেকোনো দেশে দীর্ঘমেয়াদী অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এই দুটি জরুরী”
মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, “বাংলাদেশকে খুব দ্রুত কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে বের হয়ে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির পথে যেতে হবে। সেটা বাস্তবায়ন করা না গেলে ১৮ কোটি জনগোষ্ঠীর জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান তৈরি হবেনা। আর শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির জন্য প্রধান চালিকাশক্তি হলো বিদ্যুৎ।”
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বলানি খাতে মুহাম্মদ আজিজ খানের অনস্বীকার্য অবদানের কারণে বাংলাদেশের মানুষ একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সেবা পেয়ে উপকৃত হয়েছে অন্যদিকে এই খাতে ব্যবসায়িক অবকাঠামো দৃঢ় হয়েছে। এখন বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার ঘটাতে চাইলে সরকার ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা রাখার জন্য সরকারের উচিত বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে নেট-জিরো লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি সমাধান সক্রিয়ভাবে প্রচার করছে। ইতিমধ্যে সরকার ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ৫০টি গ্যাস কূপ অনুসন্ধানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকারের এসব পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি নিশ্চিতের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে সরকার এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য জোড় দিলে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আরও বেগবান হবে।
পাঠকের মতামত