প্রকাশিত: ১৩/০৪/২০১৭ ৯:৪২ পিএম , আপডেট: ১৩/০৪/২০১৭ ৯:৪৩ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

উৎসব প্রিয় বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে পহেলা বৈশাখসহ সার্বজনীন নানা উৎসব। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিকে বরণে বাঙালির আয়োজনের কোনো কমতি নেই। মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলাসহ কতনা আয়োজন দেখা যায় এদিন। তবে এখন আর নববর্ষকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ‘হালখাতা’ প্রথাটি আগের মতো চোখে পড়েনা। কালের বিবর্তনে, কালের গর্ভে হারাচ্ছে হালখাতা উৎসব।

নববর্ষের প্রথম দিন শহরে-গঞ্জে, ছোট-বড় সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতার আয়োজন করা হতো। এ উপলক্ষে ছাপানো হতো নিমন্ত্রণপত্র (দাওয়াত কার্ড)। মুসলমানদের নিমন্ত্রণপত্রে থাকত মসজিদের-মিনারের ছবি, আর হিন্দুদের নিমন্ত্রণপত্রে মাটির পাত্রে কলাগাছের পাতা, ডাব এবং উপরে দেবতা গণেশের ছবি।

কিন্তু আধুনিক এ যুগে প্রযুক্তি স্পর্শে এখন আর দেখা মিলে না হালখাতা উৎসব । দেখা মেলে না নিত্যপণ্যের কোনো আড়তে ব্যবসায়ী-ক্রেতার বন্ধনের এ অনুষ্ঠানটি।

রাজধানীর শাঁখারিবাজারের দত্ত ভান্ডারের রাম চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘আগের দিনে হালখাতা নিয়ে আমাদের কত কত পরিকল্পনা ছিল। কাস্টমারদের কেমন আপ্যায়ন করবো, মাহাজনদের কেমন আপ্যায়ন করবো। কি উপহার দেব। তাদের পরিবারের জন্য কি পাঠাবো। কিন্তু এখন আর এতো ভাবতে হয় না । কোনভাবে ছোট-খাট একটা করলেই চলে।’

‘প্রযুক্তির এ যুগে এখন কি আর বাকি টাকার জন্য চিন্তা করতে হয়। মাল ডেলিভারির সাথে সাথেই বিকাশে টাকা চলে আসে। তার উপরে আবার অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং তো আছেই। তাই বড় করে হালখাতা করতে হয় না আর আগের মত।’ যুক্ত করলেন রাম চন্দ্র দত্ত।

বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী বছরের শেষদিন ধুঁয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নানা জাতের ফুল, বেলুন, রঙিন কাগজ আর ‘শুভ নববর্ষ’, ‘শুভ হালখাতা’ লেখা ব্যানার-ফেস্টুনে সাজাতাম দোকান। নতুন বছরের জন্য কেনা হত নতুন খাতা, ক্যালকুলেটর, কলমসহ কত কি। আর নববর্ষের প্রথম দিনে দোকান খুললেই পুরোনো হিসাব চুকিয়ে নতুন খাতা খুলতাম। সেখানে লেখতাম নতুন দিনের হিসাব। তারপর ক্রেতাদের, মাহজনদের আপ্যায়ন শুরু করতাম। কিন্তু এখন আর আগের মত হয় না। এভাবেই হালখাতার বর্ণনা করছেন তাঁতীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হৃদয় পোদ্দার।

বাবার রেখে যাওয়া স্কর গোল্ড হাউজটি দেখছেন তিনি। বলছেন হালখাতা নিয়ে নানা আয়োজনের কথা। তবে আগের মত আর আনন্দ হয় না এ আয়োজনে। এখন আর কার্ড ছাপানো হয় না। ক্রেতাদের ফোনেই জানিয়ে দেন তাদের হিসেব।
হালখাতা ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার কারণ তথ্য প্রযু‌ক্তি্ বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী। হৃদয় বলেন এখন আর আগের মতো ‘হালখাতা’র জৌলুস নেই ।

পাঠকের মতামত

উপকূলের ম্যানগ্রোভে বিশ্বস্বীকৃতি—দ্য আর্থশট প্রাইজ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। ...

রোহিঙ্গার হাতে এনআইডি : নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আসামি চসিকের কর্মচারীও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবহার ...

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...

রোহিঙ্গা নারীকে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত

এক রোহিঙ্গা নারীকে অবৈধভাবে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ...