
চট্টগ্রামে রওয়ানা দেওয়ার আগ মুহুর্তে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে । নেওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে । সেখানে ওয়াশ করে বের করা হয় ১২ প্যাকেট ইয়াবা। কিন্তু বাকি ৫ প্যাকেট ইয়াবা ফেটে যাওয়ায় সেগুলো বের করা সম্ভব হয়নি। তাই অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান।
মা আনোয়ারা বেগমের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আশিকুর রহমান বলেন, ছেলে ইয়াবা সেবনের পরে প্রথমে বাড়িতে কবিরাজ নেয়া হয়। ওখানে ১২ প্যাকেট ইয়াবা বের করে। এরপরে বিষক্রিয়ায় গড়াগড়ি করায় স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়। কিছুক্ষণ পরে সে মারা যায়। ইয়াবার বিষক্রিয়ার কারনেই ছেলেটি মারা গেছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ( আরএমও) শাহীন মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, ছেলেটির মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার সময় পেটের ভেতর ইয়াবার ৫ টি প্যাকেট পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীরুল গিয়াস বলেন, ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ইয়াবাগুলো গলিত হওয়ায় গণনা করা সম্ভব হয়নি
পাঠকের মতামত