পেকুয়া প্রতিনিধি::
১২/১৩ জনের সংঘবদ্ধ একদল উৎশৃংখল যুবক। চলাফেরা করেন ভিন্ন স্টাইলে। গঠন করেছেন কানফুল বাহিনী নামের একটি সংগঠন। তারাই আতংক মগনামা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। সবচেয়ে বেশি আতংকে থাকে নারীরা। ঈদকে সামনে রেখে এ আতংক আরো বেশি দেখা দিয়েছে। সন্ধ্যা নামলে সংঘবদ্ধ এ দলটি তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় বিচরণ করে থাকে। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে মেয়ের কানে পরিহিত স্বর্ণের দুল, কানফুল ও মোবাইল টান মেরে ছিড়ে নেওয়া। অনেকে এর কারণে আহত হলে তাদের হুমকিতে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাদের ভয়ে আতংকে থাকে। কখন না আবার তাদের স্ত্রী অথবা মেয়ের কাজ থেকে কানফুল অথবা ধুল কেড়ে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে তারা আরো বেশি আধিপত্য বিস্তার করতে স্থানীয় লবণ, মৎস্য চাষীদের কাজ থেকে চাঁদা আদায়সহ লুটপাট শুরু করেছে। যার কারণে লবণ ও মৎস্য চাষীরা রাত হলে পাহারা বসায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিণ মগনামা এলাকার মৃত গোলাম কাদেরের পুত্র মো: দিদার এর নেতৃত্বে চলছে এ কানফুল বাহিনী। মো: কালুর পুত্র হুমাইন, মনুর পুত্র ছাদেক, নুর বশরের পুত্র মামুন, আজিজুর রহমানের পুত্র আনোয়ার ও সালাউদ্দিনসহ ৫/৬ জন এ দলের সাথে যুক্ত রয়েছেন। দক্ষিণ মগনামার বলির পাড়া, কালার পাড়া, কাঁকপাড়া, কইড়ার বাজারসহ আশে পাশের কয়েকটি গ্রামের চলাচল রাস্তায় তাদের বিচরণ বেশি থাকে। এ সব রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন বয়সের মহিলারা তাদের তার্গেট থাকে। নিজে মোবাইলে কথা বলার অজুহাতে মেয়েদের পাশে এসে পরিহিত স্বর্ণের কানের দুল, ফুল ও মোবাইল টান মেরে নিয়ে যায়। এ সময় অনেক মেয়েদের কান ছিড়ে গিয়ে আহত হয়। এছাড়াও ওই এলাকার লবণ চাষীদের মজুদকৃত লবণ ও মৎস্য প্রজক্টের মাছ লুট নিত্য ঘটনা। দিনে হলে ঘুমিয়ে পড়ে আর সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত অবধি চলে তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় থানা প্রশাসন এর কর্মরত কর্মকর্তারা ওই এলাকায় নিয়মিত টহল দিতে না পারায় তারা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে।
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কানফুল বাহিনীর অত্যাচারে মগনামা ইউনিয়নের বাসিন্দারা অতিষ্ট এবং আতংকের মধ্যে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে অস্ত্রের ভয় দেখায়। যার কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। আমরা এ বিষয়ে আইনের সহযোগিতা কামনা করছি।
পাঠকের মতামত