
দীর্ঘ ২৭ দিন পর ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে আবারো গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার ( ১৭ ফেব্রুয়ারী) মাগরিবের পর মিয়ানমারের দু’বিদ্রোহী গ্রুপের মাঝে দফায় দফায় ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির আওয়াজে আতংক তৈরি হয় সবার মাঝে।
শূন্যরেখা সংলগ্ন তুমব্রু বাজারে আসা আলী আকবর, তুমব্রু গ্রামের গৃহিনী খদিজা, তুমব্রু বাজার মসজিদের মুসল্লী আবদুজাব্বার সহ অনেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজকে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া না গেলেও তার পরিষদের মেম্বার শফিক আহমদ বলেন, হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে তার এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ে। তিনি শুনেছেন এ গোলাগুলি শূন্যরেখায় হচ্ছে। আর তা-ও মিয়ানমারের দু’বিদ্রোহী স্বশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে। একটি আরকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গনাইজেশন (আরএসও) অপরটি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে পরস্পরের মূখোমূখি। তাদের সংঘাতের জের ধরে কোনার পাড়া শূন্যরেখার সোয়া ৬ শত রোহিঙ্গা পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে।
এ সব কারণে মানুষ আতংকে বর্তমানে। তবে গোলাগুলির ঘটনার পর এ সীমান্তে বিজিবির সতর্ক টহল দিতে দেখা গেছেও বলেও জানান স্থানীয়রা।
পাঠকের মতামত