প্রকাশিত: ৩০/০৩/২০১৭ ৮:৫৩ এএম , আপডেট: ৩০/০৩/২০১৭ ১০:৫৭ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফের স্থলবন্দরে জব্দ করা হয়েছে প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এক হাজার ৭০১ পিস সেনা পোষাক (ইউনিফর্ম)। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আচার ও শুটকির ভেতরে লুকিয়ে বাংলাদেশে আনা হচ্ছিল।

টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক বিভাগ ওই সামরিক পোষাক জব্দ করে। বুধবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় আমদানিকৃত পণ্য কায়িক করার সময় ওই পোষাক ধরা পড়ে।

উদ্ধার করা সামরিক পোষাকগুলোর মধ্যে মিয়ানমার সেনা পোষাকের (ইউনিফর্ম) ২০০ পিস প্যান্ট, ২০২ পিস শার্ট, ১৮৬ পিস সামরিক পোষাকের ব্যাগ, ৪৫২ পিস পোষাক বেল্ট, ৩০ পিস সামরিক রেইনকোর্ট, ১৮ পিস বুলেট রাখার ব্যাগ, ৫০টি সামরিক টুপি, ১৮ পিস সামরিক সেন্ডু গেঞ্জি, ১২৭ পিস ইউনিফর্ম বেইজ, ২৩০ পিস মিয়ানমারের লুঙ্গি, ১৮৮ জোড়া স্লিপার স্পঞ্জ ফিতা। এই সামরিক পোষাকের সাথে ছিল আবরণযুক্ত ১৩৪ কেজি মিয়ানমারের আচার, ৪৫০ কেজি শুটকি ও ৮১০ কেজি তেতুঁল বিচি।

স্থলবন্দরের শুল্ক বিভাগ মতে, এসব পণ্য গত ২১ মার্চ ৩১২/২০১৭ নাম্বার আইজিএম মূলে মেসার্স এ. আর ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে আমদানি হয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসে। এই প্রতিষ্টানটির ঠিকানা দেয়া আছে, টেকনাফ পৌরসভার লেঙ্গুরবিল সড়ক সংলগ্ন জাফর চেয়ারম্যানের ভাড়া বাসা। এছাড়াও সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স রহমান ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে এসব পণ্য খালাস করা হয়।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা এএসএম মোশারফ হোসেন অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত আচার ও শুটকির ভেতরে লুকিয়ে আনা সামরিক বাহিনীর এক হাজার ৭০১ পিস ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি জানান, এসব পণ্যের আমদানিকারক মেসার্স এ. আর ট্রেডিংয়ের স্বত্তাধিকারী আব্দুস ছালাম, সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স রহমান ট্রেডিং প্রতিনিধি নুরে আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হচ্ছে।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের ভেতর কোন বাহিনীর জন্য এসব পোষাক (ইউনিফর্ম) আনা হয়েছে। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়ে খতিয়ে দেখে আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পণ্যগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় শুল্ক কর্মকর্তার নজরদারির মধ্যে থাকায় এসব অবৈধ ইউনিফর্ম উদ্ধার করা সম্ভব হয় বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকৃত পণ্যের মধ্য থেকে অবৈধ ইউনিফর্ম উদ্ধার করায় আমদানি-রপ্তানিকারকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। তবে আমদানি পণ্যের ভেতরে লুকিয়ে কোন বাহিনীর ইউনিফর্ম নিয়ে আসায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এসব ইউনিফর্ম উদ্ধারের ঘটনায় স্থলবন্দরে পণ্য আমদানিতে প্রভাব পড়ার আশংকাও দেখা দিয়েছে।

তবে এসব সামরিক পোষাক (ইউনিফর্ম) আনয়নকারি এরা কারা, এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে আসল তথ্য উদঘাটনের দাবি করছেন এলাকাবাসি।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ দুদকের মামলা

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল ...