
পাহাড় থেকে কক্সবাজারের টেকনাফের প্রধান সড়কে একটি বন্যহাতি নেমে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের খোঁজে হাতিটি পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে এসেছে।
সোমবার রাত ১০টায় টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যাং পাড়ায় বনবিভাগের পাশে প্রধান সড়কে অবস্থান করছিল বন্যহাতিটি। এ সময় হাতিটি সড়কের পাশে কয়েকটি গাছ ভেঙে ফেলায় কক্সবাজার-টেকনাফ প্রধান সড়কে দুইপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় হাতিটি সেখানে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ বন বিভাগ টেকনাফের রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ জানান, ‘প্রচণ্ড বৃষ্টিতে রাতে প্রধান সড়কে একটি পাহাড়ি হাতি নেমে আসার খবর পেয়ছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের লোকজন হাতিটি পাহাড়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
টেকনাফ সদর সিবিজি সভাপতি মাহমদুল্লাহ বলেন, ‘সোমবার রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে পাহাড় থেকে প্রধান সড়কে একটি বন্যহাতি নেমে এসে গাছ-পালা ভেঙে ফেলে। এতে রাস্তার দুইপাশে যানবাহান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। হাতিকে পাহাড়ে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরফাত বলেন, ‘পাহাড়ি একটি বন্যহাতি প্রধান সড়কে নেমে এদিক-ওদিক ছুটছে। এতে মানুষজন ভয়ের মধ্য রয়েছে। স্থানীয় সিবিজি কর্মীরা হাতিটিকে পাহাড়ের ভেতরে পাঠিয়ে দেওয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী জানান, পাহাড়ি হাতিটি সড়কে নেমে আসার খবর পেয়ে বনবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, যাতে হাতিটি নাফনদীর সীমান্তে যাওয়ার আগে পাহাড়ে ভেতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে গত ২৬ জুন টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীতে দুটি হাতির দেখা মেলে। সেদিন সন্ধ্যায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর টেকনাফ জালিয়াপাড়া প্যারাবন থেকে হাতি দুটিকে বনাঞ্চলে ঢুকিয়ে দেয় দক্ষিণ বন বিভাগ টেকনাফ ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা। তবে রোববার সকালে আবার নাফ নদে নেমে আসে হাতি দুটি।
পরের দিন হাতি দুটি শাহপরীর দ্বীপ এলাকার সমুদ্র সৈকত থেকে ট্রলারের সহায়তায় উদ্ধার করে টেকনাফে পাহাড়ে দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় আবার তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যদিও দক্ষিণ বন বিভাগ টেকনাফের কর্মকর্তারা দাবি করে আসছিল, হাতি দুটিকে পাহাড়ে ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে তারা।সমকাল
পাঠকের মতামত