প্রকাশিত: ১২/১১/২০১৭ ৯:৩১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:১৫ এএম

জসিম মাহমুদ,টেকনাফ  ::

উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়নসহ উপকূল সুরক্ষার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবার দেশে প্রথমবারের মতো ‘উপকূল দিবস’ পালনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের সীমান্ত উপজেলার টেকনাফে পালিত হয়েছে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ধ্বংসযজ্ঞের স্মরণে উপকূলবর্তী ১৫ জেলার ৩২ উপজেলার একটি টেকনাফ উপজেলায় এ দিবসটি পালন করা হয়। টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটি ও শাহ পরীর দ্বীপ আলোকযাত্রা দল এর উদ্দ্যোগে ১২ নভেম্বর বিকাল ৪টায় ‘উপকূল দিবস’ পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে র‌্যালী, আলোচনা সভা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকের কাছে ১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ পালনের দাবি স্মারকলিপি প্রদান করেন ।

র‌্যালী, আলোচনা সভা ও স্মারকলিপি প্রদানকালে অংশ নেন, টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটির উপদেষ্টা জেড করিম জিয়া, সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফী, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইন, রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা আবদুল মতিন, লম্বরী মলকাবানু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইসমাইল, উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো : শহিদ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক আবদুল বাসেদ, সাংবাদিক আবুল আলী, নুর হাকিম আনোয়ার, আবদুল কাইয়ুম, শিল্পী হাফেজ আহমদ, আবদুর রহিম, উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য জসিম মাহমুদ, যুবনেতা আবদুস সালাম আবদুস্যা, মো :রফিক প্রমূখ।

স্মারকলিপি প্রদান কালে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, এটি একটি খুব ভাল কাজ, টেকনাফ উপকূলের মানুষ খুবই সাহসী, সাগরের সাথে লড়াই করে বেঁেচ আছে। কিন্তু স্বাভাবিক সময়েও তাদের জীবন যে কতটা অস্বাভাবিক, সে বিষয়ে খুব একটা খোঁজ রাখা হয় না। উপকূলের দিকে গণমাধ্যম ও নীতিনির্ধারকদের নজর বাড়িয়ে উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই উপকূলের জন্য একটি দিবস প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর এই দিনটি উপকূলবাসীর জন্য স্মরণীয় দিন, এদিন বাংলাদেশের উপকূলের উপর দিয়ে বয়ে যায় সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ভোলা সাইকোন’। এই ঘূর্ণিঝড় লন্ডভন্ড করে দেয় উপকূল।

বহু মানুষ প্রাণ হারান। ঘরবাড়ি হারিয়ে পথে বসেন। এই ঘূর্ণিঝড় গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে ক্যাটাগরি ৩ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ছিল। ঘূর্ণিঝড়টি ৮ই নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হয়। ক্রমশ শক্তিশালী হতে হতে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ১১ নভেম্বর এটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৮৫-২২৫ কিলোমিটারে পৌঁছায়।ওই রাতেই উপকূলে আঘাত হানে। জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপসমূহ প্লাবিত হয়। ওই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় পাঁচ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানানো হলেও বেসরকারি হিসাবে প্রয় দশ লাখ।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...