প্রকাশিত: ১০/০৯/২০২১ ১১:৩৮ পিএম , আপডেট: ১০/০৯/২০২১ ১১:৪৬ পিএম

জসিম উদ্দিন টিপু,টেকনাফ::
কক্সবাজারের টেকনাফে ইউপি নির্বাচনী মাঠে আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারীদের দৌঁড়ঝাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
স্থানীয় নির্বাচনে এসব অপরাধীরা প্রার্থী হতে পারায় সচেতন ভোটার এবং সুশীল সমাজের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বরাবরের মতই ইয়াবা কারবারীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবরীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে নুতন করে নির্বাচনী আইন সংশোধনের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশীল অনুযায়ী আগামী ২০ সেপ্টেম্বর টেকনাফ উপজেলার ৪ ইউপিতে ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। আইনী জটিলতায় দ্বীপ ইউনিয়ন সেন্ট মার্টিনের নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ায় নির্বাচন হচ্ছেনা।
এদিকে ঘোষিত তপশীল অনুযায়ী ১০ সেপ্টেম্বর (জুমাবার) প্রার্থীরা আনুষ্টানিকভাবে নিজ নিজ প্রচারণা শুরু করেছেন।
নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শামশুল আলম,১নং ওয়ার্ডের মোয়াজ্জেম হোসেন দানু,৬নং ওয়ার্ডের আলী আহমদ, ৭নং ওয়ার্ডের রেজাউল করিম রেজু। সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া,৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী এনামুল হক। হ্নীলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জামাল হোসাইন, ৮নং ওয়ার্ডের নুরুল হুদা ও ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রার্থী হয়েছেন হাসান আব্দুল্লাহ।
উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী। তারা ২০১৯ সনের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান কামাল ও পুলিশের তৎকালীন আইজিপি ডক্টর জাবেদ পাটোয়ারীর হাতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র জমাদানের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন।
পরবর্তীতে আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে আত্মস্বীকৃত সব কারবারী জামিনে বেরিয়ে আসেন।
অনুসন্ধানে জানাযায়,সদরের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া এবং হ্নীলার মেম্বার প্রার্থী আব্দুল্লাহ হাসান ছাড়া বাকীরা বর্তমান মেম্বার হিসেবে আছেন।
সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাযায়,আত্মস্বীকৃত এসব ইয়াবা কারবারীদের এর আগে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করায় তারা বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন জেলে থাকায় উল্লেখিত কারবারীদের ওয়ার্ডের জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মনিরুল ইসলাম জানান,মাদক কারবারীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ থাকায় জনগণের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। এর আগে তারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছেন৷ কারবারীরা জনসেবা মূলক কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারেননি। ইয়াবা কারবারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে তিনি আইনী ধারা যুক্ত করণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ করেছেন। কক্সবাজার জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও হোয়াইক্যং আলী আছিয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোস্তফা কামাল চৌধুরী মুসা জানান,আত্মস্বীকৃত অপরাধীরা নির্বাচিত হলে জনপ্রতিনিধির গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। তিনি ইয়াবা কারবারীদের যে কোন মূল্যে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারীদের মনোনয়ন পত্রের বৈধতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ বেদারুল ইসলাম বলেন,আইনীভাবে কোন সুযোগ না থাকায় তাদের মনোনয়ন আটকানো সম্ভব হয়নি। জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ চৌধুরী বলেন,বিষয়টি আইনানুগ ব্যাপার। আইনী জটিলতা না থাকায় ইয়াবা কাবারীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি থেকে যায়।#

পাঠকের মতামত

কোনো মাস্টার মাইন্ড জামায়াত বিশ্বাস করে না : কক্সবাজারে শফিকুর রহমান

জুলাই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব মহান আল্লাহর, নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. ...

বাড়ছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, আটক ৩৩

বান্দরবানের আলীকদম সীমান্তে বাড়ছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা। আজও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে শিশুসহ ৩৩ মিয়ানমারের নাগরিককে আটক ...

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার

অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার। যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ, সড়কের পাশের ময়লা এবং সমুদ্র ...