প্রকাশিত: ০৮/০৪/২০১৮ ৯:২০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:২৬ এএম

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি::
কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের উত্তর বড়বিল গ্রামে বেশ কিছু ব্যক্তির অব্যাহত হুমকিতে ঘর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক গৃহবধু ও তাঁর স্বামী। ওই গৃহবধুর নাম নূর আয়েশা বেগম।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি নূর আয়েশার পালিত একটি ছাগল একই গ্রামের ইস্কান্দর ও মোহাম্মদ হোছনের তামাক ক্ষেখে যান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাকবিত-া হলেও সেদিনের মত ঘটনার অন্ত ঘটে। কিন্তু ১ এপ্রিল বিকেল ৪টায় একই ঘটনা নিয়ে শহীদ উল্লাহ ও ইলয়াছসহ অন্যান্যরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে নূর আয়েশার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা শ্লীতাহানি ও ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন ২ এপ্রিল আবারও দুর্বৃত্তরা নূর আয়েশার বসতঘর কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেয়।

নূর আয়েশা বেগম ও তাঁর স্বামী ফজল করিমের দাবি- গ্রামের ইস্কান্দর, শহীদ উল্লাহ, ইসমাঈল, আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ হাসান ও ইলিয়াছসহ অন্যান্যরা তাঁদের ঘর ২ এপ্রিল মধ্যরাতে জ¦ালিয়ে দেয়। এ বিষয়ে নূর আয়েশা বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মূলত এর পরই থেকেই আসামিরা তাঁদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। বাড়িতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলছে। এ নিয়ে তাঁরা চরম নীরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।

নূর আশেয়া বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, ‘আসামিদের ভয়ে এখন আমি স্কুল পড়–য়া মেয়ে ও এক শিশু সন্তান নিয়ে রাতে অন্য জনের বাড়িতে থাকছি। স্বামী বেচেরাকেও টাকা উপার্জনের জন্য নানা স্থানে কাজ করতে হয়। আমরা গরিব হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী কেউ আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’ জানতে চাইলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পরিদর্শক কাজি আরিফ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত

বাংলাদেশি পাসপোর্টে রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’

১৯৯৭ সালে মিয়ানমারের মংডু থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় ...

চকরিয়া থানা থেকে লাশ উদ্ধার: মামলা গ্রহণ করতে এসপিকে জেলা জজের নির্দেশ

কক্সবাজারের চকরিয়া থানা হাজত থেকে কম্পিউটার অপারেটর দুর্জয় চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা গ্রহণ ...