উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫/০৪/২০২৫ ১০:৫৮ এএম

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কক্সবাজার ও বান্দরবানের সীমান্ত দিয়ে নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাচার হয়ে যাচ্ছে ইউরিয়া সার ও ভোজ্যতেল। সার-ভোজ্যতেল পাচারে সীমান্তে রয়েছে আলাদা আলাদা সিন্ডিকেট। সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় পাচারকারী সিন্ডিকেটের রয়েছে বসতঘর স্টাইলের গুদাম। এমনকি কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের স্টেশন এবং বাজারে বাজারে রয়েছে পণ্য মজুদের দোকানসহ গুদামও।

চট্টগ্রামের বাজার থেকে সরাসরি টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকায় পাচারকারীরা পণ্য এনে পাচার করে দিচ্ছে।
গোপন সংবাদ পেয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উখিয়া ইউএনও মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানে একটি গুদাম থেকে ২০৫ বস্তা সার ও ৭২০ লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়।

ইউএনও কালের কণ্ঠকে জানান, তথ্য ছিল কুতুপালং শরণার্থী শিবিরসংলগ্ন এই বাজারে রয়েছে কয়েকটি অবৈধ পণ্য মজুদের গুদাম।

এ রকম তিনটি গুদাম পেয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কুতুপালং বাজারে সাদ্দাম ও আরাফাতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি সার পাচারকারী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। সিন্ডিকেটের রয়েছে ৮-১০টি গুদাম। বুধবারের অভিযানে মাত্র তিনটি গুদাম সিলগালা করে দিতে পারলেও অন্যগুলোতেও প্রচুর পণ্য মজুদ রয়েছে।

স্থানীয় বাজারে প্রতি বস্তা সারের দাম ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। সীমান্ত পার করতে বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা আদায় করে আরেকটি সিন্ডিকেট।
আবার রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে পাচারকালে বস্তাপ্রতি খরচ হয় আরো ৩০০ টাকা। আর ওপারে কোনো রকমে পার করে দিতে পারলেই মিলছে প্রতি বস্তায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। অর্থাৎ এক বস্তা ইউরিয়া সার পাচার করতে পারলেই মুনাফা হাতে আসে দুই হাজার টাকা।

এ ছাড়া পাঁচ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেল এপারে ৮৫০ টাকায় কিনে ওপারে দুই হাজার টাকা মিলছে। সুত্র, কালেরকন্ঠ

পাঠকের মতামত