মো: জয়নাল আবেদীন, প্রতিনিধি, কাউখালী, রাঙামাটি::
কাউখালীর বেতবুনিয়ায় ত্রিশউর্দ্ধ এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ বসতঘরের তীরের সাথে গামছা পেচিয়ে ঝুলে নাজমা বেগম (৩০) মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন পুলিশ।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায় বেতবুনিয়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ের সাথে প্রায় আড়াই বছর পুর্বে হোসেন আলীর সাথে বিবাহ হয়। নাজমা ও আলীর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। নাজমা বেগমের পূর্বের সংসারের তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে নাজমা তার বাবার বাড়ীর পাশে ঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছিল। পুলিশ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান বিয়ের পর থেকে তাদের পরিবারের মধ্যে অভাব অনটন লেগেই ছিল। রোযা শুরুর প্রথম থেকে নাজমার স্বামী মোহাম্মদ আলী রাউজানস্থ তার পূর্বে বউয়ের নিকট চলে যায়। গতকাল সন্ধ্যায় আনুমানিক সাতটার সময় পার্শ্ববর্তী নাজমার ছোটবোন নাজমাকে ডাকাডাকি করতে থাকলে তার বাসার বাহির দিক থেকে আটকানো দেখে খালার নিকট থাকা নাজমার সন্তানের নিকট তার মা কোথায় জানতে চাইলে সে জানায় তার মা বাজারে গেছে। রাত হয়ে যাওয়া এবং বাজার থেকে না ফেরায় তাদের সন্দেহ হলে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলে ঘরের তীরের সাথে ঝুলানো অবস্থায় নাজমার লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরে স্থানীয়রা বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়িতে সংবাদ দেয়।
সংবাদ পেয়ে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়ির এসআই মোজাম্মেলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে রাত এগারটায় বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়িতে নিয়ে আসে।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম জানান- লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত করাণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্তা।
তবে সম্প্রতি সময়ে বেতবুনিয়া এলাকায় এধরনের মৃত্যু ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সচেতন মহল। নাজমার মৃত্যুটিও পরিকল্পিত হত্য বলে মনে করছেন স্থানীয় অনেকেই।
পাঠকের মতামত