
সুজাউদ্দিন রুবেল::
এগারো লাখের বেশি রোহিঙ্গা আর দেশি-বিদেশি পর্যটকের সমাগম কক্সবাজারে। এছাড়াও সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বিদেশি নাগরিকদের আনাগোনায় করোনা ভাইরাস আতঙ্কে রয়েছে কক্সবাজার। তবে ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এজন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখা হয়েছে বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, পর্যটনস্পট এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শহর হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার। প্রতিদিন মুখর থাকে হাজারও পর্যটকে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কারণে যাতায়াত করছেন নানা দেশের নাগরিকরাও।
উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখন বসবাস করছে এগারো লাখের বেশি মানুষ। সবমিলে ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা বলে ক্যাম্প ঘিরে করোনা ভাইরাস নিয়ে আছে উদ্বেগ।
এসিএফের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ মাহাদী বলেন, আমাদের অনেক দেশি ও বিদেশি স্টাফ আছেন। আমরা তাদের কক্সবাজার ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছি।
তবে জেলা প্রশাসন বলছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পর্যটক ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। স্ক্যানার দিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর ও টেকনাফ স্থলবন্দরে চলছে পর্যবেক্ষণ।
কক্সাবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে যারা বিদেশিরা আছেন, রোহিঙ্গারা আছেন তাদের সবাইকে নিয়ে আসলে একই রকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
আর সিভিল সার্জন জানালেন, আমরা স্ক্রিনিং করছি। যা যা করা দরকার আমরা তাদের সেই পরামর্শ দিচ্ছি।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যাত্রীদের স্ক্রিনিং করার পর যা যা দরকার সে অনুযায়ী পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কেউ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলে কক্সবাজারের রামু ও চকরিয়ায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে, একশো শয্যার আইসোলেশন ইউনিট। এছাড়া খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সুত্র; সময় টিভি
পাঠকের মতামত