প্রকাশিত: ৩১/০৭/২০২২ ৩:৪৭ পিএম

আদালতের আদেশে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অবৈধ ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রবিবার (৩১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। তবে পুরো সৈকত এলাকার ঝুপড়ি উচ্ছেদের নির্দেশ থাকলেও মাত্রাতিরিক্ত ঝুপড়ির স্থান সুগন্ধা পয়েন্টকে ‘অক্ষত’ রেখে অভিযান শেষ করা হয়েছে। সুগন্ধা পয়েন্টের ঝুপড়ি উচ্ছেদে পাল্টা আদেশ এনেছে ব্যবসায়ীরা। তাই সেখানে উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না বলে জানায় প্রশাসন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, ‘সৈকতের সব ঝুপড়ি উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে অবৈধ ঝুপড়ি দোকানিদের দায়ের করা পাল্টা আদেশের কারণে সুগন্ধা পয়েন্টে অভিযান চালানো যায়নি।’

এদিকে লাবণী পয়েন্টের উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, সুগন্ধা পয়েন্টে মাত্রাতিরিক্ত ঝুপড়ি দোকান বসানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে উচ্ছেদ করা হয়নি। এটি তাদের সাথে বৈষম্য বলে দাবি করছেন তারা।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বাৎসরিক ৮ হাজার টাকা অনুমোদন ফি নিয়ে ঝুপড়ি দোকানগুলো বসানো হয়। এ সকল ঝুপড়ি দোকানের সংখ্যা নির্দিষ্ট হলেও কয়েক বছর ধরে গণহারে অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন। ফলে সৈকতের একেবারে নিচে পর্যন্ত রাতারাতি যত্রযত্র বসেছে এসব অবৈধ ঝুপড়ি দোকান। সৈকতে লাবণী থেকে কলাতলী পর্যন্ত অন্তত হাজারো ঝুপড়ি দোকান রয়েছে। এসব ঝুপড়ি দোকানের কারণে সৈকতের সৌন্দর্য্য চরমভাবে বিনষ্ট হচ্ছে সেই সাথে পরিবেশও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টসহ আশেপাশে সৈকতে গড়ে তোলা ঝুপড়ি দোকানগুলো উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে। আগামীকাল ১ আগস্টের মধ্যে ঝুপড়ি দোকানগুলো উচ্ছেদ করতে বলেছেন আদালত। এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে অভিযান চালানো হয়েছে।

আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব শ্রীহীন ঝুপড়ি উচ্ছেদ হলে সৈকতের সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল। কিন্তু বেশি সংখ্যক ঝুপড়ির স্থান সুগন্ধা পয়েন্টে অভিযান না হওয়ায় উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে।

লাবণী পয়েন্টস্থ সৈকত ঝিনুক সমবায় সমিতির সভাপতি কাশেম আলী বলেন, লাবণী পয়েন্টে এসব লোক ঝুপড়ি দোকান করে তারা সবাই পেটে-ভাতে খাওয়া মানুষ। আদালতের আদেশকে আমরা যথাযথ সম্মান রেখে বলছি, তাদের যেন পুনর্বাসন করা হয়।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনুমতিহীন টার্ফ নির্মাণ, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সংঘাতের আশঙ্কা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলাকায় অত্রযত্র অনুমোদনবিহীন ফুটবল টার্ফ গড়ে উঠছে। প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ...

উখিয়ায় জাইকা প্রকল্পে পাহাড়ি মাটি দিয়ে সড়ক নির্মাণ!

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র অর্থায়নে পরিচালিত ডিগলিয়া-চাকবৈটা সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে গুরুতর অনিয়মের তথ্য পাওয়া ...

উখিয়ার সেই মাসুদ গ্রেফতার

ডেভিল হান্ট অপারেশন ফেইজ-২ এর অংশ হিসেবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উখিয়া উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ ...

রামু ক্যান্টনমেন্ট কলেজের নাম পরিবর্তনে সরকারের অনুমোদন

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় অবস্থিত রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম পরিবর্তনে সরকারের অনুমোদন মিলেছে। ...