
কক্সবাজারে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালের ওই ঘটনা ৬ বছর পর সম্প্রতি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তিনজনকে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা চাকরির শর্ত লঙ্ঘন। পাশাপাশি তাদের বেতন-ভাতা দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম নিরীক্ষা করে (২০২২-২৩ অর্থবছর) একটি প্রতিবেদন দিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি অডিট অধিদপ্তর। গত ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়। অডিট অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফিরোজ আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে অনিয়মের কথা উঠে আসে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে ছয়টি বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে ফিজিক্যাল ও স্পেস ওশানোগ্রাফি বিভাগ এবং এনভায়রনমেন্টাল ওশানোগ্রাফি বিভাগে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। ওই নিয়োগে রূপক লোধ ও শাহীনুর রহমানকে ফিজিক্যাল ও স্পেস ওশানোগ্রাফি বিভাগে এবং সুলতান আল নাহিয়ানকে এনভায়রনমেন্টাল ওশানোগ্রাফি ও ক্লাইমেট বিভাগে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, চাকরির শর্ত অনুযায়ী ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান, পানিসম্পদ প্রকৌশল এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ওই তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সুলতান আল নাহিয়ান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের সনদ দিলেও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দেননি। পাশাপাশি বেতন-ভাতা বাবদ তাদের ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৭০ টাকা প্রদান করা হয়েছে, যা সরকারের আর্থিক ক্ষতি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রূপক লোধ সমকালকে বলেন, ‘এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ ও প্রশাসনিক বিষয়। তাই এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব নয়।’
নিয়োগের সময় দায়িত্বে না থাকার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদ সমকালকে বলেন, ‘অডিট অধিদপ্তর মূলত আর্থিক বিষয় দেখে। এখানে মিস কমিউনিকেশন হয়েছে। যতটুকু শুনেছি ওনারা ব্যক্তিগত ফাইল দেখেছেন, নিয়োগের অফিস ফাইল দেখেননি। অডিট অধিদপ্তরের চিঠি পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে দেখেছি, তাদের সঠিক সার্টিফিকেট রয়েছে।’ সুত্র: সমকাল
পাঠকের মতামত