কক্সবাজার জেলা যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহাদত হোসেন জুয়েলের একটি স্ট্যাটাস খুবই আলোচিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর নিজ নামের আইডিতে এই স্ট্যাটাস সূত্রে জানা যায়, উখিয়া উপজেলার পালংখালীর যুবলীগ কর্মী আরাফাত হত্যার আসামী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ির পক্ষ হয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা পরিচয়ে জাহাঙ্গীর নামক এক ব্যক্তি তাঁকে মুঠোফোনে হুমকি-ধমকি প্রদান করেন। উল্লেখ্য, এই যুবনেতা দীর্ঘদিন ধরে মাদক গডফাদার ও অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
২৯ এপ্রিল রাত পৌনে ২টায় দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুললে ধরা হলো পাঠকদের জন্য। এই স্ট্যাটাসটি যুবলীগ নেতা জুয়েল কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী সহ ৩ জনকে ট্যাগও করেন।
কে এই জাহাঙ্গীর?
————————
গত ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ইং মঙ্গলবার রাত ১০:৫৬মিনিট। ০১৭৩৪ ০৮৬১৬৯ মোবাইল নাম্বার থেকে একটা কল আসলে আমি রিসিভ করার সাথে সাথে অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসলো এক গম্ভীর শব্দ…
আমি জাহাঙ্গীর বলছি..
কেন্দ্রীয় যুবলীগের অমুক..
আমাকে প্রশ্ন করলো…
আপনি কি জুয়েল??
আমি স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে জবাব দিলাম
হ্যাঁ আমি জুয়েল
আপনার কি সমস্যা বলেন?
ওনি আমার কাছে জানতে চাইলো….
আমার ফেইজ বুক থেকে নাকি উল্টা পাল্টা স্ট্যাটাস পোস্ট করা হচ্ছে।
আমি জাহাঙ্গীর সাহেবকে বল্লাম,যদি আমার স্ট্যাটাসের কথা গুলো ভুল হয়,মিথ্যা হয় আপনি প্রমাণ করুন।
আর না হয় আমার লিখার অধিকার স্তদ্ধ করার কোন সুযোগ আপনার নেই।
দীর্ঘ দু’যুগের বেশী সময় মুজিবের মিছিলে থাকা একজন কর্মীকে জনৈক জাহাঙ্গীর নামের একজন কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে ফোন করাতে আমি একটু বিব্রত বোধ করছিলাম।
এই জন্যই আমি বিব্রত বোধ করেছিলাম,জনৈক জাহাঙ্গীরের আচরণে আমি হতাশ হয়েছিলাম,,,,,,,
বর্তমান কক্সবাজার জেলা যুবলীগের কমিটিতে উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরও কক্সবাজারের সন্তান কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা,,,, কিন্তু কক্সবাজার জেলার কোন মিটিং,মিছিল কিংবা কোন অনুস্টানে তাকে দেখার,চেনার সৌভাগ্যটুকু আমি অধমের হয়নি।
হয়তো আমি হতভাগা এক কর্মী!
নইলে এই জনৈক কে আমার দেখার সুযোগ হতো।
পরক্ষনে খবর নিয়ে জানতে পারলাম ,ওনি কক্সবাজার জেলা যুবলীগের কমিটির পদ পদবী ফেরি করার অপকৌশনে লিপ্ত আছেন ঢাকায়।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও দপ্তর সম্পাদকের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে স্বারাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা ভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী, যুবলীগ কর্মী আরাফাত হত্যার আসামী,গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খন্দকার মোস্তাক সমর্থিত এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পদ কিনে দেওয়ার অপচেস্টায় লিপ্ত আছে জনৈক জাহাঙ্গীর।
আমাকে এই ইয়াবা ব্যবসায়ী, যুবলীগ কর্মী হত্যার আসামী,ও দলের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে না লিখার জন্য হুমকি দিয়ে আমার কলম স্তদ্ধ করে দেওয়ার অপচেস্টাকারী এবং দলের ভাইরাস জনৈক জাহাঙ্গীর কোন সময় কোন দল করতো,এবং কোথায় দলীয় দায়িত্ব পালন করেছিল!! কারো জানা থাকলে বলবেন কি কেউ?
কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেত্ববৃ্ন্দের কাছে আমার বিনীত আবেদন কক্সবাজার জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে সৎ,শিক্ষিত,মেধাবী পরিচ্ছন্নতার প্রাধান্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে ইয়াবা,সন্ত্রাস,হত্যা ও ষড়যন্ত্র মুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের সুযোগ দেবেন।
পরিশেষে আবারও বলছি কে এই জনৈক জাহাঙ্গীর?
কেন্দ্রীয় নেতা পরিচয় দিয়ে তৃনমূল নেতা কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে এবং কক্সবাজার জেলা যুবলীগের পদ কিনে দেওয়ার জন্য ইয়াবা,হত্যা ও দল বিরোধী লোকদের সাথে নিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম বিক্রি করে যুবলীগের সর্বনাশ করার মিশন শুরু করেছে?
এই জনৈকদের হাত থেকে যুবলীগ এবং যুব সমাজকে রক্ষা করুন।
Mohammad Omar Faroque Chowdhury
Kazi Anisur Rahman
এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
পাঠকের মতামত