স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ::
কক্সবাজারে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদে নেমেছে প্রশাসন। কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা, বাদশাঘোনা, খাজা মঞ্জিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি পাহাড়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে ঝুকিপূর্ণ ভাবে তৈরি ঘরবাড়ি। সেখানে নির্মিত আরও অর্ধশত বাড়ি নিজ দায়িত্বে সরে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের খবর পেয়ে আগে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে বেশির ভাগ বাড়ির মালিক। এর মধ্যে কয়েক জন মহিলা বাড়ি থাকলেও তারা প্রতিবাদ করার চেস্টা করে। এ সময় রোজিনা নামে এক মহিলা অভিযোগ বলেন, আমাদের বাপ দাদার কোন সহায় সম্পদ নেই।
নিজেরা অনেক কষ্ট করে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে গন্ডা প্রতি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ বছর আগে এই পাহাড়ে জমি কিনেছি। এখন আমাদের পুনর্বাসন না করে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করাটা অমানবিক। তাছাড়া ঈদের আগে আমরা পরিবার নিয়ে কোথায় যাব?
এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েস জানান, পাহাড়ের জমি কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন নয়। এগুলো সম্পূর্ণ সরকারি খাস জমি, তাছাড়া কয়েক দিন আগে থেকে এখানে ঝুকিপূর্ণ ভাবে বসাবাসকারীদের বাড়িঘরে ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
এ অভিযান চলমান থাকবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কাজী আবুদ রহমান বলেন, পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ ভাবে বসাবাসকারীদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত অনেক আগের। তারা সেখানে ঝুকি নিয়ে বসাবাস করে, পরে কোন দুর্ঘটনার শিকার হলে দায় বর্তায় সরাকরের উপর।
মূলত তাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। রবিবার বিকেল থেকে পরিচালিত অভিযানে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো: মনিরুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো: আবদুল্লাহর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল এবং র্যা ব ও পুলিশের বিপুল সংখ্যাক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
–
পাঠকের মতামত