
কক্সবাজারের চকরিয়ায় নৌবাহিনীর সদস্য (সৈনিক) পরিচয়ে প্রতারণার দায়ে নারীসহ দুই প্রতারককে (স্বামী-স্ত্রী) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত ওয়াকিটকি এবং একটি সুজুকি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভোররাতে চকরিয়া পৌরশহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার শপিং সেন্টারের সামনের স্বপ্নছোঁয়া ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুই প্রতারক হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার তাইনজাঙ্গা ইউনিয়নের ভাটগাঁও গ্রামের মৃত মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ মিজান (৩৬) ও পটুয়াখালী জেলার সদর থানার ঝাউতলা রোডের তিতাস সিনেমা মোড়ের মৃত নাছির উদ্দিনের কন্যা ও মিজানের স্ত্রী মৌসুমী বেগম প্রকাশ মৌ (২৭)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতারকচক্রকে গ্রেপ্তারে পুলিশের ঝটিকা আভিযানিক দলে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এম এম রকীব উর রাজা, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলামসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এএসপি এম এম রকীব উর রাজা বলেন, কখনো নৌবাহিনীর সৈনিক পরিচয়েসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে স্বামী-স্ত্রীর এই প্রতারকচক্রটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সর্বশেষ ওয়াকিটকি সেটসহ গ্রেপ্তার মিজান নিজেকে নৌবাহিনীর সৈনিক পরিচয় দিয়ে স্বপ্নছোঁয়া ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফটোগ্রাফির দোকান হতে ক্যামেরা ভাড়া নেওয়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান মারফত গোপনে খবর পেয়ে এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে প্রতারণা করেছে মর্মেও স্বীকার করেন।
তিনি জানান, প্রতারকচক্রের প্রধান মিজানের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর, পাবনা ও কিশোরগঞ্জ থানায় প্রতারণাসহ নানা অপরাধের জড়িত থাকার দায়ে অসংখ্য মামলা রয়েছে। সর্বশেষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে চকরিয়া থানায় মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত