ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৭/০৩/২০২৩ ৭:৩২ এএম

কক্সবাজারে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে তানজীম উদ্দীন তাহের বাবলা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় কনস্টেবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা প্রতারক চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড একরাম হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়। কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল ও হোটেল আলহেরায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (০৬ মার্চ) রাতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ এ তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়।
জেলা পুলিশ জানায়, সোমবার কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিলো। কেন্দ্র ছিলো কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল। সেই কেন্দ্রে রোল ৭১১০১৩০ নাম্বারের পরীক্ষার্থী ছিলো হারুন অর রশিদ। হারুন কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে। কিন্তু পরীক্ষার সময় তার স্থলে কেন্দ্রে হাজির হয় কুতুবদিয়ার লেমশীখালী হাবীব নাজিরপাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে তানজীম উদ্দীন তাহের বাবলা (২০)। বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে বাবলাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শহরের হোটেল আল হেরায় অভিযান চালায় পুলিশ। আল হেরার ৩২৫ নাম্বার কক্ষ থেক প্রতারক চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড একরাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। একরাম কুতুবদিয়ার লেমশীখালী সিদ্দিক হাজিরপাড়া এলাকার ছাবের আহমেদের ছেলে।

এ সময় তার কাছ থেকে টিআরসি পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদ রোল ৭১১০১৩০ এর আরেকটি প্রবেশপত্র, নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার প্রক্সী পরীক্ষার্থী তানজিম উদ্দিন তাহের বাবলার ১টি মোবাইল ও অন্য একজন প্রক্সী পরীক্ষার্থী মিরাজের ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন এবং একরামের নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ৩ টি মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
এসময় চক্রের মূল হোতা গ্রেফতারকৃত একরাম হোসেনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম, প্রক্সী পরীক্ষার্থী মিরাজ, পলাতক পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদ সহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলেও জানায় পুলিশ।
চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম তার ভাই একরাম হোসেনসহ একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ বাহিনী সহ বিভিন্ন সরকারী নিয়োগ পরীক্ষায় ফটোশপের মাধ্যমে ছবি ও স্বাক্ষর এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল করে আসছে। কিছু বিপদগামী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রক্সী পরীক্ষার্থী হিসেবে ব্যবহার করে আর্থিক ফায়দা লুটছে বলে দাবী জেলা পুলিশের। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

পাঠকের মতামত

দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সরকারি লাইসেন্স নেই, তদন্ত টিমের পরিদর্শন

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় ১৫টি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলছে অনুমতি বিহীন। সরকারিভাবে কোন ...

উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ইউনিফর্ম, অস্ত্র-গুলি ও হাতকড়াসহ আটক ১

কক্সবাজারের উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ ...