প্রকাশিত: ০৯/০৮/২০১৭ ৮:২১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:২৮ পিএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
জাপানের অর্থায়নে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। আজ বুধবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। জাইকার একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম-ঢাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে আলোচনা ও তথ্য সংগ্রহের পর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস সংক্রান্ত এ চুক্তি করতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাইকার উদ্যোগে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের ব্যাপারে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরে জাইকার বৈঠক হয়েছে। ওই সকল বৈঠকে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উপযোগিতার বিষয় তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে জাপানের কাশিমা বন্দরের আদলে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়।

জানা যায়, জাপানের অর্থায়নে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৪৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার জেটি এবং ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ করা হবে। প্রায় ১৬ মিটার গভীরতা মাদার ভেসেল ওই জেটিতে ভিড়তে পারবে। প্রায় ৮ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ বন্দরে ঢুকতে পারবে।

মাতারবাড়ি বন্দরে আরো একাধিক জেটি নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকবে। কন্টেইনারসহ অন্যান্য কার্গোর পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে বন্দরের আয়তন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। জাইকার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল গত কয়েক দিনে বন্দর সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে।

মঙ্গলবার প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিনিধি দল বর্তমানে নির্মাণ প্রক্রিয়ায় থাকা পায়রা বন্দর, বে-টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে তাদের স্টাডি রিপোর্টের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তাদের রিপোর্টে প্রতিটির নির্মাণ ব্যয়, প্রাত্যহিক পরিচালনা ব্যয় এবং আর্থিক লাভ-ক্ষতির দিকগুলো তুলে ধরা হয় বলে জানা যায়। তাছাড়া স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পগুলোর কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

জানা যায়, জাইকা মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের ব্যাপারে আগামী বছরের জুন মাসে চূড়ান্ত আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষর করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা ২০২৪ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ শেষ করার টার্গেট ধরেছে।

সূত্রে জানা যায়, জাইকা মূলতঃ মাতারবাড়িতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত্ কেন্দ্রের জন্য জেটি নির্মাণ করতে গিয়ে উক্ত স্থানে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের সম্ভাবনা দেখতে পায়। বিদ্যুত্ কেন্দ্রের জন্য জেটি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে তত্সংলগ্ন এলাকায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা গেলে নির্মাণ ব্যয়ও অনেক কমে যাবে বলে তাদের অভিমত।

এই প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে জাইকা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পথে কয়েকটি ধাপ এগিয়ে গেছে বলে জানা যায়। ইতোপূর্বে কক্সবাজার এলাকায় সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্র নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর এগোয়নি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মো. জাফর আলম জানান, জাইকা প্রতিনিধি দল মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। এ ব্যাপারে বেশ কিছু অগ্রগতি রয়েছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানেই মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...