ডেস্ব রিপোর্ট ::
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর শহরে এক পাগলীর সন্তান প্রসব নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। কে এই সদ্য নবাগত শিশুর বাবা! কার লালসার শিকার এই পাগলী এই আলোচনা শহরে “টক অব দ্যা টাউন”।
গতদুদিন পূর্বে শহরের মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতী সন্তান প্রসব করেছে।ইতি মধ্যে পাগলিনী ও তার নবাগত শিশু সন্তানের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ দেশ বিদেশে আলোচনা চলছে।
কে হবে নিবে নবজাতকটির পিতৃ পরিচয়ের দায়িত্ব। সবার মাঝে ক্ষোভ আর ঘৃর্নার জন্ম হয়েছে ভারসাম্যহীন এই যুবতীর ইজ্জত নষ্ট করে যে লম্পট একাজ করেছে। এ ঘটনায় অসুস্থ্য মস্তিস্কের পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহলের লোকজন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, অনেক দিন ধরেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান নাম-পরিচয়হীন ওই পাগলিনী যুবতী। যাকে সবাই ‘পাগলী’ নামেই ডাকে। কেউ জানে না তার কোন নাম ঠিকানা। শহরে যত্রতত্র তার চলাচল। যেখানে রাত সেখানেই সে কাত(ঘুমিয়ে)পড়ে। রাতের আধারে কার লালসার শিকার হয়েছে।
কোন লম্পট তাকে হয়তো জোর পূর্বক ধর্ষন করেছে। এতে সে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। যখন তার অন্তঃসত্বার দৃশ্য সবার মাঝে ধরা পড়ে তখন থেকেই শহরে আলোচনা শুরু হয় কে এমন নিন্দীয় কান্ডঘটালো।
গত ৬ জুলাই ভোরে নবীগঞ্জ শহরের ওমর ফারুক মসজিদের পাশে
হঠাৎ পাগলী’র চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যান। সকাল ৬ টার দিকে পাগলী যুবতীর গর্ভ থেকে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। এসময় যুবতীর শারিরিক অবস্থা খারাপ দেখে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।এসময় সাইফুল ইসলাম নামে একটি আইডি থেকে পাগলীর সন্তানকে দন্তক নেবার আহবান জানিয়ে স্ট্যাটাস দেয়া হয়। সাথে ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
পাগলীর সন্তান প্রসবের খবর ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, শত শত মানুষ ভীড় জমায় পাগলীকেও তার নবজাতককে দেখার জন্য। এ অবস্থায় হবিগঞ্জের নিঃসন্তান এক দম্পত্তি এই নবজাতককে নবীগঞ্জ হাসপাতাল থেকে এসে দত্তক নেন। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন এই যুবতী কোন লম্পটের লালসার শিকার হয়েছেন তা কেউই জানেন না।
এমনকি সবাই শুধু ধিক্কারই জানিয়েছেন। এদিকে, পথ শিশুরা জানিয়েছে কয়েকদিন পূর্বে স্বাস্থ্যবান ও কম বয়সী ফর্সা রঙ্গের এক ছেলে ওই যুবতীকে ফুসলিয়ে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে তারা দেখেছেন তিনি। নবীগঞ্জ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব হাক্কানী, এটা অত্যান্ত জগন্যতম নিন্দীয় কাজ। এটা আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকজন তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
যে বা যারা একাজ করেছে সেটা ইসলামের পরিভাষায় অমার্জনীয় অপরাধ করেছে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ ইফতেখার চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা পুরোপুরি ক্লিলার বলতে পারবো না। ন জাতকের শেষ পরিনতি আমরা জানিনা।
টিএইচও ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,এরকম কোন ঘটনা তার জানা নেই। তবে তিনি শোনেছেন একটি নবজাতক তার হসপিটালে ভর্তি করে কে বা কারা রেখে গেলে পরে একটি দম্পতি নিয়ে গেছে।এর বেশি তিনি জানেন না।
পাঠকের মতামত