প্রকাশিত: ১৪/০৭/২০১৭ ১০:১৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৪৫ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট ::
উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নের চোয়ানখালীতে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।  উক্ত ইউপি সদস্য স্থানীয় চোয়ানখালী ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোজাম্মেল হক বলে জানা গেছে।   সূত্রে জানা যায় গত ১৩ জুলাই রাত আনুমাণিক ১০ ঘটিকার সময় কিছু মাদক ব্যবসায়ী একটি ম্যাজিক (ছারপোকা) গাড়ি করে প্রায় ১৫ কেইস বিয়ার সহ বিভিন্ন অন্যন্য মাদক দ্রব্য কক্সবাজার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, পথের মধ্যে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোজাম্মেল তার বিশেষ সোর্সদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তার এলাকা চোয়ানখালীতে রাস্তার মধ্যে ব্যরিকেড দিয়ে গাড়িটি আটক করে, আর গাড়িতে থাকা মাদক ব্যবসায়ী ও ড্রাইভার তাদের কে পুলিশ ভেবে তারা গাড়িটি রেখে পালিয়ে যায়।  এক প্রতক্ষ্যদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান মেম্বার মোজাম্মেল গাড়িটি ব্যরিকেড দিয়ে থামানোর পর সাথে সাথে তার এলাকার  কিছু ছেলেকে দিয়ে তার নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১০-১২ কেইস বিয়ার ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য গোপন করে ফেলে, পরে তারা খাওয়ার জন্য ঐ জায়গাতে একটি বিয়ারের কেইস খুললে সেখানে  যার মন চাই  বিয়ার খেতে থাকে, হঠাৎ স্থানীয় মাদারবনিয়ার এক ব্যক্তি ইনানী থেকে তার বাড়িতে আসার সময় রাস্তার মধ্যে উক্ত অবস্থা দেখতে পেয়ে তার পরিচিত এক ভাগিনা থেকে খাওয়ার একটি বিয়ার খুঁজে, মোক্তার নামক ঐ ব্যক্তিটির বিয়ার খোঁজা ব্যাপার নিয়ে মেস্বার মোজাম্মেল তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ব্যাপক মারধর করতে থাকে,  এতে মোক্তার মোজাম্মেল কে বলতে থাকে আমার কি দুষ আমাকে পেটাচ্ছেন কেন? তার উত্তরে মেম্বার বলে তুই তোর ভাগিনা থেকে বিয়ার খোঁজছিস কেন, তোকে এই বিয়ার দিয়ে চালান দেব, বলে দমকাতে থাকে। পরে মোজাম্মেল তার দায় এড়ানোর জন্য ইনানী পুলিশ ফাঁড়িকে ফোন করে ছিনতাই করা মাদক থেকে শুধুমাত্র মোক্তারকে চালান দেওয়ার জন্য দুই কেইস বিয়ার পুলিশকে হস্তান্তর করে,  পরে স্থানীয় এলাকাবাসী মোজাম্মেলকে অনেক অনুরোধের পর নিরাপরাদ ব্যক্তি মোক্তারকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়, এবং সে টাকা আর দুই কেইস বিয়ার মোজাম্মেল পুলিশকে দেয় বলে জানান এলাকাবাসী। এদিকে এই বিষয়ে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইরচার্জ স্টাইলিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দুই কেইস বিয়ার স্থানীয় মেম্বার মোজাম্মেল আমাদের হস্তান্তর করেছে, তবে নিরহ ব্যক্তি থেকে  টাকা আদায়ের ব্যাপারটা তিনি অস্বীকার করেন। তবে মেম্বার যদি কোনো মাদক গোপন করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। অন্য দিকে এবিষয়ে মোজাম্মেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি মাদক গোপন করার ব্যাপারটি অস্বীকার করেন, তিনি শুধু তার দায়িত্ব পালন করেছে বলে জানান।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার সহকারি প্রেস সচিব বর্তমান সরকারের সমালোচনা করুন মন খুলে

‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে মন খুলে সমালোচনা করা যাবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুস নিজেই ...