প্রকাশিত: ২৪/১০/২০১৬ ২:০৬ পিএম , আপডেট: ২৪/১০/২০১৬ ২:৫০ পিএম

সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ করা চাউল কালো বাজারে বিত্রিু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কাবিখার শত শত টন চাল কালোবাজারীদের নিকট বিক্রি করে দিচ্ছে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টরা। উন্নয়নমুলক কোন কাজ না করেই কালো বাজারীদের হাতে বরাদ্ধকৃত খাদ্যশস্য বিক্রি করে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চত্রুটি। প্রকল্পবাস্তবায়ন অফিসের খাতা পত্রে মনগড়া কাজের বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি। সরকারের এসব বরাদ্দকৃত অর্থ সংশ্লিষ্টরা অত্যান্ত কৌশলে নয়ছয় করে সবাইকে ম্যানেজ লুট করে খাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কোন কাজ না করেই কালোবাজারিদের নিকট খাদ্য বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভারি করেছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প গুলো তদন্ত করলে থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসবে। যেখানে কোন কাজই হয়নি সেখানে দৃশ্যমান কাজের অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। এছাড়া উন্নয়নের এসব অর্থ হরিলুট হওয়ার ফলে জনসাধারণ কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু কাবিখা প্রকল্প নয়, ৪০ দিনের কর্মসৃজনও প্রকল্পের টাকাগুলোও আত্মসাৎ করে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও কর্মর্তারা। একই ভাবে টিআর রিলিফ টেস্টের লক্ষ লক্ষ টাকা ভূঁয়া বিল ভাউচার ও কাল্পনিক কাগজ পত্র তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে। যেন এসব দেখার কেউ নেই। একাধিক ইউপি সদস্য উপজেলার সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো জিম্মি করে রেখেছে।সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারাই কাজগুলো তদারকি করছে।এসব চিন্থিত সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এভবে উপজেলার সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চালিয়ে গেলেও কোন প্রতিবাদ নেই।এসব কাজ গুনগতভাবে খারাপ হলেও কেউ কিছু বলছেনা। এসব সিন্ডিকেটের সদস্যদের সাথে উখিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ও এলজিডি অফিসের দররম মহরম সম্পর্ক।এ দুটি অফিসের দু,একজন কর্মকর্তাও এসব নয়ছয়ের সাথে জড়িত।বছরের পর বছর সরকারী উন্নয়ন কাজ সিন্ডিকেটে মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় কাংক্ষিত উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে উখিয়াবাসী। এতে স্থানীয় জনগণের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে। যদি সরকার সহ এডিবি কর্তৃপক্ষ টিআর কাবিখা, কাবিটা ও কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থের যোগান দিয়ে আসছে তথাপি উন্নয়ননা করে অর্থ আত্মসাতের কারণে ভবিষ্যতে এসব উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে সহযোগীরা। এখানে কাজের নামে কোটি কোটি টাকা ও খাদ্য লুপাট করে কালো বাজারিদের নিকট কাছে বি্িত্রু করে রাতারাতি অনেকেই এখন কোটিপতি।এ ব্যাপারে উখিয়া খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা সুনিল দত্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে উখিয়া নিউজ ডটকমকে বলেন,সবকিছু নিময়নীতি মেনেই করা হচ্ছে।সরকারী চাউল কালোবাজারে বিত্রিুর প্রশ্নই উঠেনা।উখিয়া উপজেলা নির্বাহী মোঃ মাঈন উদ্দিন। উখিয়া নিউজ ডটকমকে বলেন,এরকম কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি,তবুও কোন অভিযোগ উঠলে বিয়য়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দেন।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...