প্রকাশিত: ০৮/০৯/২০১৭ ১০:২০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৫২ পিএম

এম বশর চৌধুরী উখিয়া::

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের সরকারী বনভুমি জবর দখল করে রোহিঙ্গা বস্তি নির্মানে সহায়তা, সরকারী কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান ও অস্ত্র গুলি ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন ও নুরুল আমিন সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগে। গত ৬ সেপ্টেম্বর উখিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা ফেরদাউস আহমদ (৫৫) বাদী হয়ে উখিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় উক্ত দুইজন ইউপি সদস্য ছাড়াও বালুখালী গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে আকবর আহমদ (৩৮), মৃত আলী হোছনের ছেলে ফখর উদ্দিন (৩৫), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শাহ আলমগীর, মোঃ হোছনের ছেলে আবু তাহের ও জনৈক মাষ্টারের ছেলে বাপ্পি, থাইংখালী গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মনির আহমদ কে আসামী করা হয়। উক্ত মামলায় অজ্ঞাত নামা আরো ৫০/৬০ জনকে আসামী করেছে বন বিভাগ।

অভিযোগে প্রকাশ, সম্প্রতি মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বিট, উখিয়ার ঘাট বিট, উখিয়া সদর বিটের কুতুপালং ক্যাম্পের পাশের বাগান, বালুখালী ক্যাম্প, থাইংখালী তাজনিরমার খোলা, থাইংখালী পুলিশ গোলঘর এর সাথে সৃজিত বন বাগানের আশ পাশে ও থাইংখালীর শফি উল্যাহ কাটা এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থান নিয়া সরকারী বনভুমি জবর দখল করে অবস্থান নেয়। মামলায় অভিযুক্তরা উক্ত রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে সরকারী বনভুমিতে বাঁশ গাছ ও পলিথিন দিয়ে ঘর নির্মানে সহায়তা করে সরকারী সম্পদের অপুরনীয় ক্ষতি সাধন করে। বন বিভাগের লোকজন অভিযুক্তদের বাধা দিলে তাহারা বন বিভাগের লোকজনদের আক্রমন করে সরকারী অস্ত্র গুলি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, পালংখালী ইউপির বর্তমান ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, নুরুল আমিন ও কামাল মেম্বার সহ একটি শক্তিশালী সিন্ডেকেট দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ভাবে ঘর নির্মান করে দিয়ে একেকটি বস্তি ঘরের আদলে ২/৩ হাজার টাকা কামাই করার অভিযোগে রয়েছে। উক্ত দুই মেম্বার সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে ঘর নির্মান করে দেয়। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা তাহাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন। ইউপি সদস্য নুরুল আমিন জানান, মানবতার খাতিরে কিছু রোহিঙ্গাকে বনভুমিতে ঘর নির্মান করে দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। বালুখালী গ্রামের স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে জানান, বালুখালী গ্রামের জাফর ইকবাল, আব্দুল গফুর, আমির হোছন হেডম্যান, গোলাম কাদের সহ অর্ধ শতাধিক লোক অবৈধ বস্তি নির্মানে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করে অবৈধ ভাবে টাকা কামাই করছে। যার কারনে সরকারী বনভুমি ও বনাঞ্চলের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

পাঠকের মতামত