প্রকাশিত: ০৫/০১/২০১৭ ৬:৫২ পিএম , আপডেট: ০৫/০১/২০১৭ ৭:০৩ পিএম

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া ::
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং শরণার্থী শিবির সংলগ্ন রোহিঙ্গা বস্তিতে স্থানীয় বনকর্মী ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে দফায় দফায় ইট পাটকেল ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে বনকর্মকর্তা সহ ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময় শরণার্থী শিবির সংলগ্ন নতুন রোহিঙ্গা বস্তি টালে এ ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সেনা বাহিনীর দমন নিপীড়নের অত্যচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ২ মাসে উখিয়ার ক্রাইম জোন হিসেবে খ্যাত কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তিতে প্রায় ২৩ হাজার রোহিঙ্গা ঝুঁপড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল। রোহিঙ্গারা ইতিমধ্যে প্রায় দেড় হাজারের অধিক ঝুঁপড়ি ঘর নির্মাণ করেছে বলে কুতুপালং গ্রামের আবুল খায়ের জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি এলাকায় উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন বন বিভাগের বন কর্মকর্তা, বিট কর্মকর্তা, হেডম্যান, বনকর্মী সহ ২৫ জনের একটি দল রোহিঙ্গা বস্তির ৬৫ টি ঝুঁপড়ি ভেঙ্গে দেয়। বনকর্মীরা ফেরৎ আসার সময় উৎপেতে থাকা অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বনকর্মীদের উপর ৮/১০ রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। এর জবাবে বনকর্মীরাও পাল্টা ১ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষন করে। রোহিঙ্গাদের ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা আবদুল মন্নান, উয়ালাপালং বিট কর্মকর্তা ফেরদৌস, উখিয়ার ঘাট বিট কর্মকর্তা মোবারক আলী, মোছার খোলার বিট কর্মকর্তা মাসুদ সরকার, দোছরী বন বিট কর্মকর্তা আমির হোছন গৌজনবী, উখিয়া সদর হেডম্যান মোঃ ইব্রাহিম, বনকর্মী তরিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ শাহ জাহান সহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা উখিয়ার কুতুপালং বন ভূমির জমিতে ঝুঁপড়ি ঘর নির্মাণ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে দুপুর ১২ টায় শত শত রোহিঙ্গারা তাদের উপর ছড়াও হয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ফাকা গুলি বর্ষন করেন। এর জবাবে বনকর্মীরাও ১ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষন করেন বলে জানান। উখিয়া সদর বন বিট কর্মকর্তা আবদুল মন্নান উখিয়া নিউজ ডটকমকে বলেন, ৯৭-৯৮ সালের রোপিত বন বিভাগের জায়গার উপর অনুপ্রবেশকারীরা দেড় হাজারের অধিক ঝুঁপড়ি নির্মাণ করেছে। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ঐ ঝুঁপড়ি গুলো উচ্ছেদ করতে গেলে রোহিঙ্গারা আমাদের উপর হামলা চালায়। এর আগেও গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৮০ টি রোহিঙ্গার নির্মিত ঝুঁপড়ি ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে উখিয়া থানায়, উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা আবদুল মন্নান বাদী হয়ে একটি ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে, উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়েরের ব্যবহৃত সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...