প্রকাশিত: ১৫/০৮/২০১৭ ৮:৫৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:০৯ পিএম
উখিয়ার ইনানীতে বনবিভাগীয় ডাকবাংলোয় রক্ষীত পরির্শন বইতে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষর

বিশেষ প্রতিবেদক :

উখিয়ার ইনানীতে বনবিভাগীয় ডাকবাংলোয় রক্ষীত পরিদর্শন বইতে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষর

রন্ধ্রে রন্ধ্রে ষড়যন্ত্র চলছে জাতির জনক কে নিয়ে। ষড়যন্ত্র চলছে বাঙ্গালী জাতি ও বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে জাতির জনকের অবদানকে খাটো করার জন্য। ষড়যন্ত্র যেন থেমে নেই। আর এবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী চেংছড়ি আদিবাসী পল্লীর স্মৃতি বিজড়িত স্থানটি নিয়ে। যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পদচারণায় ধন্য হয়েছিল অরণ্যঘেরা এলাকাটি। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ওই স্থানটি নিয়ে এখন বিভ্রান্তি সৃষ্টিতে নেমেছে কোমর বেঁধে।

যে মুহূর্তে জাতির জনকের স্মৃতি বিজড়িত উখিয়ার অরণ্যঘেরা সাগর পাড়ের চেংছড়ি আদিবাসী পল্লীতে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেই মুহূর্তেই ওই মহলটি মরিয়া হয়ে পড়েছে এই মহৎ উদ্যোগটি ভন্ডুল করে দেওয়ার জন্য। এই স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থ এক খন্ড বনভূমি। যে বনভূমি খন্ডটি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেংছড়ি আদিবাসী পল্লীর বাসিন্দা ও দাপুটে হেডম্যান প্রয়াত ফেলোরাম রোয়াজা চাকমাকে ভোগ দখলের জন্য প্রদান করেছিল। কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের এই বনভুমিতে ভোগ দখলে ছিলেন প্রয়াত ফেলোরাম রোয়াজা চাকমা।

১৯৫৮ সালের ১৬/১৭ জানুয়ারি বা একই বছরের অন্য কোন সময়ে (স্থ্নাীয় মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হাকিম মাষ্টার সহ অন্যান্যদের তথ্য অনুযায়ি একই বছরের অক্টোবরে) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এসেছিলেন ইনানীর চেংছড়ি অরণ্যে। বঙ্গবন্ধু স্থানীয় প্রবীণ আওয়ামী লীগার মরহুম সৈয়দুর রহমান সিকদার চেয়ারম্যানের ঘরে এসেছিলেন। সেখান থেকেই গিয়েছিলেন উপজাতি হেডম্যান প্রয়াত ফেলোরাম রোয়াজা চাকমার ঘরে। অসাম্প্রদায়িক নেতা বঙ্গবন্ধু একজন উপজাতি পল্লীর হেডম্যানের সাথে কেবল সুসম্পর্ক নয় একদম আপনজনের মতই ছিলেন এটাই তার ্উৎকৃষ্ট প্রমাণ। আর এলাকাটিতে জাতির

ফেলোরাম রোয়াজা চাকমার প্রয়াণের পর এলাকার লোকজনের লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে সেই প্রয়াত হেডম্যানের দখলীয় বনভুমির উপর। ধারাবহিকতায় একই এলাকার এক ব্যক্তি সেই হেডম্যানের ভিটার বেশ কিছু পরিমাণ জমি দখলে নিয়ে অবৈধ ভোগদখল করতে থাকে। প্রয়াত হেডম্যানের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন সেই বনভুমির অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে। জাতির জনকের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

তখনই গা জ্বালা শুরু হয় উচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তি এবং তার স্বজনদের। তারা দৌঁড়-ঝাপ শুরু করেন তাদের সেই হারানো বনভুমির দখল ফিরে পেতে। কিন্তু ব্যর্থ হয় বার বার। তাদের সাথে যোগ দেয় স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। এই চক্রের যোগসাজসে নতুন মিশনে নামে তারা। এবারের মিশন- ইনানী চেংছড়ি আদিবাসী পল্লীতে বঙ্গবন্ধুর আগমণ ঘটেনি-এটার অপপ্রচার করা।

অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানে যাতে কোন অবকাঠামো না হয় সেটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। আর বর্তমান সরকারের আমলে যদি কিনা কোন রকমে এরকম অপপ্রচারের মাধ্যমে প্রশাসনকে ঠেকানো যায় তাহলে পরবর্তীতে সুযোগ সুবিধা মত সেই জবরদখলবাজরাই পূণরায় স্মৃতিবিজড়িত এলাকাটি চিরতরে দখলে নেয়া সম্ভব হবে। এভাবেই এগুচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী এবং সুবিধাবাদী চক্র সারা দেশে বঙ্গবন্ধু তথা স্বাধীনতার স্মৃতি চিহ্ন সমূলে ধ্বংশ করার মানসে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...