
আজিজুল হক ,সীমান্ত প্রতিনিধি::
উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যাত্রী ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে।জেলার বিভিন্ন উপজেলা গুলোর মধ্যে উখিয়া উপজেলা উল্লেখযোগ্য। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, রাজনৈতিক ও ব্যবসা/বানিজ্য সমাদৃত। এই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অত্যন্ত ভাল।উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যাত্রী ছাউনি নেই। এর মধ্যে বালুখালী কাস্টমস স্টেশন উল্লেখ্যযোগ্য। আনুমানিক ১৯৯৬ সালের দিকে জেলা পরিষদের অর্থায়নে এই ষ্টেশনে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মিতি হলেও সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে যাত্রী ছাউনিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে,নেই কোন বসার সীট নেই কোন ছাউনি। এই ষ্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার যাত্রী ঢাকা,চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে।কিন্তু স্টেশনের কোথাও যাত্রী ছাউনি নেই। ফলে এই এলাকার বাস যাত্রীদের রৌদ্রে পুড়ে আবার বৃষ্টিতে ভিজে বাসে উঠানামা করতে হয়। আবার ছাউনির অভাবে দুরের যাত্রীদের পড়তে হয় চরম র্দুভোগে। বিশেষ করে ছাত্র/ছাত্রীদের পড়তে হয় বিভিন্ন অসুবিধায়। উখিয়ারঘাট কাষ্টমস স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়Ñসকাল ৭টা থেকে পানবাজার, বালুখালী,কুতুপালং উখিয়ার পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দক্ষিণ ঘুমধুম,তুমব্রু,কচুবনিয়া সহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৩ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী জমায়েত হয়। কক্সবাজার-টেকনাফ থেকে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর-অন্তর বাস চাড়লেও শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র ৮ টি আসন বরাদ্ধ থাকে। তাও আবার যেতে হয় দাড়িয়ে। অনেক সময় বিরক্ত হয়ে কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা যায়। যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট কোন স্থান ও ছাউনি না থাকায় দুরের যাত্রীরা আশ্রয়ের জন্য ছিনতাইকারীদের কবলেও পড়তে হয় বলে জানান স্থানীয়রা। এ ক্ষেত্রে মহিলা যাত্রীদের দুর্ভোগ অবর্ণনীয়। পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন উখিয়ারঘাট ষ্টেশনটিতে কোন যাত্রী ছাউনি না থাকায় বর্ষা মেীসুমে বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাত্রীদের গন্তব্য স্থানে পোছতে হয়। আবার দুরের যাত্রীদের জন্য কোন নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশে পাশের দোকানঘরের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়,আমি গত দু-বছর পূর্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে আবেদন পাঠিয়েছি,তবে এখনো কোন প্রতিউত্তর পাইনি।শীঘ্রই আবার নতুন করে আবেদন পাঠানো হবে বলে জানান।বালুখালী উখিয়ারঘাটসহ আশেপাশের জন-সাধারণ ও স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রীরা একটি যাত্রী ছাউনি স্থাপনের জন্য মাননীয় এমপি মহোদয় ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত