উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়া-টেকনাফের ইয়াবা সিন্ডিকেট ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইয়াবাপাচার প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস’া যতোই কঠোর হচ্ছে ততোই পাচারের ধরন পাল্টাচ্ছে ইয়াবাকারবারিচক্র। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে পুলিশ-কোস্টগার্ডের সাথে বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি জাকু ও ফরিদসহ ৬ জন নিহত হওয়ার পর ইয়াবাপাচার সাময়িক স্তিমিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এর পাচার বেড়েছে ভয়ানক আকারে। গত এক মাসে সড়কপথে পাচারকালে র্যা ব-পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা প্রায় ৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসময় আটক করা হয় ৬ জন ইয়াবা পাচারকারীকে। জব্দ করা হয় শরণার্থী ক্যাম্পের রোগীর পরিবহনে নিয়োজিত এনজিও আরটিএমআই-এর নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাম্বুলেন্স।
র্যা ব-পুলিশ-ডিবি’র সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৯ জুলাই শনিবার বিকেল ৪টার দিকে পাচারকারী সিন্ডিকেটের ২জন সক্রিয় সদস্য উখিয়া একরাম মার্কেটস’ মিষ্টিঘরে অন্যান্য কাস্টমারদের আদলে মহিলাদের ভ্যানিটি ব্যাগের মাধ্যমে ইয়াবার চালান হাতবদল করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার র্যা ব-৭ সদস্যরা অভিনব কায়দায় অভিযান চালিয়ে কুতুপালং গ্রামের গুরা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নুরুল বশর (২৭) ও মন্ডু নাগপুরা গ্রামের মৃত আমান উল্লাহর ছেলে মো. মামুনুর রশিদ (৩২) কে হাতেনাতে আটক করে।
র্যা ব-৭ কোম্পানি কমান্ডার রুহুল আমিন জানান, আটককৃতদের হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ৫৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে শরণার্থী ক্যাম্পের চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত এনজিও আরটিএমআই-এর একটি অ্যাম্বুলেন্স কক্সবাজার যাওয়ার পথে উখিয়া থানা পুলিশ গাড়িতে সন্দেহজনক তল্লাশি চালায়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সে রোগী থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে গাড়িটি কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রোগী হস্তান্তরের পর অ্যাম্বুলেন্সখানা উখিয়া থানা কম্পাউন্ডে পার্কিং করে তল্লাশি চালানো হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাঈন উদ্দিন জানান, গাড়ির টুলবক্সে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক করা হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলার কালু মিয়ার পুত্র মাহামুদুল হক প্রকাশ রানা (৩২) ও টেকনাফ উপজেলা মোছনী গ্রামের আবুল হোছনের ছেলে বাদশা মিয়া (৩৫) সহ ২ জন ইয়াবা পাচারকারীকে। পুলিশ আরো জানায়, গাড়িটি মোছনী শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রোগী নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিল। এর আগে গত ১৫ জুলাই ভোর রাতে বালুখালী হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা টেকনাফ থেকে আসা একটি খালি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে আড়াই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
এসময় যশোর জেলার সারসা থানার আব্দুল মজিদের ছেলে মিন্টু আলী (২৭) ও একই জেলার কালী আলী গ্রামের মশিউর আলমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৩) কে আটক করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কায় কিসলু জানান, আটক আসামিরা হ্নীলা ও টেকনাফের বেশ কয়েকজন শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে দেখা করেছেন পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ ...
পাঠকের মতামত