
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :: ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ অন্তত সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা খরচ নিয়ে দুজনের ভিন্ন মত। জাকাত, ইফতার, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলসহ বিভিন্নখাতের এই অর্থ আগে এককভাবে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক বিবেচনায় খরচ করা হতো। এখন তা স্বচ্ছতার সাথে রাষ্ট্রের অনুকূলে খরচের পক্ষে প্রস্তাব আসায় ব্যাংকের দুই শীর্ষ পদে দেখা দেয় দ্বন্দ্ব।
ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ২০ জনের মধ্যে মাত্র ৪ জনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান আরস্ত খান। দাবি করেন ভাইস-চেয়ারম্যান আহসানুল আলম বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছিনে গণমাধ্যমে। এর মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে ব্যাংকটির -চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্ধের বিষয়টি।
ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ দেশের বাইরে আছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান চেয়ারম্যান। তবে ভাইস চেয়ারম্যান বলছেন, তিনি দেশেই আছেন, সংবাদ সম্মলেন না যাওয়ার কারনও জানান তিনি।
অভিযোগ ওঠেছে , গত ১৩ মে ইসলামী ব্যাংকের ২৪৪ তম বোর্ডসভায় যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় তা সিদ্ধান্ত মানছেন না ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হামিদ মিঞা আর চেয়ারম্যান। ওই সভায় যাকাত ফান্ডের প্রায় ৭০ কোটি টাকার ৮০ ভাগ অর্থ প্রধানমন্ত্রীর যাকাত ফান্ডের মাধ্যমে খরচ করা, আসন্ন রমজানে ইফতারের ১৩ কোটি টাকা ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় খরচ না করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারা দেশে বিতরণসহ, হ্যাকিং এর মাধ্যমে ব্যাংকে ১৫ হাজার কোটি টাকা পাচারের যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে তা খতিয়ে দেখাসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত। ওই সভায় উপস্থিত থাকলেও চেয়ারম্যান আরস্তু খান বলছেন এসব সিদ্ধান্ত হয়নি।
চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য হলেও ব্যাংকটির বিভিন্ন তহবিল আগের মতো জামায়াতী কর্মকান্ডে খরচের বিপক্ষে মত দিয়েছেন বেশিরভাগ পরিচালক।
পাঠকের মতামত