প্রকাশিত: ১৬/০৯/২০২১ ৩:৩১ পিএম

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির একজন গ্রাহক।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।

তিনি বলেন, “মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর-১৯।”

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আরিফ বাকের গত ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি অর্ডার করেন। এসব পণ্য ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তা দেয়নি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়েও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। ৯ সেপ্টেম্বর বাকেরসহ তিনজন ধানমন্ডির ইভ্যালির অফিসে যান। তারা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে বাধার শিকার হন। পরে বাকের তার বন্ধুদের নিয়ে ইভ্যালির অফিসে প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। এক পর্যায়ে ইভ্যালির নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল তাকে ভয়ভীতি দেখান ও তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এর আগে বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরার আদালতে আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ৪ মে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালিতে একটি টেলিভিশন, পেনড্রাইভ ও আয়রন মেশিনসহ ৫টি পণ্য ক্রয়ের অর্ডার করন বাদী। মূল্য হিসেবে ৫০ হাজার ৭৩৭ টাকাও পরিশোধ করেন তিনি। নীতিমালা অনুযায়ী অর্ডারের ৭ থেকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার নিয়ম হলেও এখন পর্যন্ত পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়নি। যে কারণে তিনি প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে কাস্টমার ও মার্চেন্টদের কাছে ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইভ্যালির প্রকৃত দেনার পরিমাণ আরও বেশি বলে গত বুধবার (১৮ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিলেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল। তার হিসাবেই গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত কাস্টমারদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম, সরবরাহকারীদের কাছে দেনা ও ব্যাবসায়িক দেনাসহ ইভ্যালির মোট চলতি দায়ের পরিমাণ ৫৪৩ কোটি টাকা। এছাড়া শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি বাবদ দায় রয়েছে আরও এক কোটি টাকা।

অর্থাৎ, ইভ্যালির মোট দেনার পরিমাণ ৫৪৪ কোটি টাকা। এটি গত জুন মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন রিপোর্টে উল্লেখ করা ইভ্যালির দেনার তুলনায় ১৪০ কোটি টাকা বেশি।

পাঠকের মতামত