প্রকাশিত: ২৭/০৫/২০১৭ ৯:০২ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৩২ পিএম

বরিশাল: বৃদ্ধার ঘাড়ে বসে আয়েসী ভঙ্গিতে এক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মোবাইলে কথা বলার একটি ছবি গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। লোকটিকে নিয়ে নিন্দেমন্দ চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে যিনি কাঁধে বসে আছেন বলে ছড়ানো হয়েছে, সেই ব্যক্তি বলেছেন, তিনি কস্মিনকালেও এই কাজ করেননি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, এই ব্যক্তির নাম মাইনুল ইসলাম। তার পরিচয় দেয়া হয়েছে ৫৬ নং মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার ছবি এডিট করে ব্যবহার করেছে। প্রকৃতপক্ষে এটা আমিই নই এবং এমন কাজ আমি কখনো করিনি।’

এই শিক্ষক বলেন, ‘আমার এক বন্ধু বলার পর আমি ছবিটা দেখি এবং এর নিচে লোকে যে আমার নাম তুলে গালিগালাজ করছে সেটাও দেখি। এসব দেখার পর আমি তো হতবাক।’

এরপর আপনি কী উদ্যোগ নিয়েছেন জানতে চাইলে তনি বলনে, ‘আমি থানায় গেলাম এবং এবিষয়ে বিস্তারিত বলার পর পুলিশ আমাকে একটা জিডি করে রাখতে বললো। এরপর আমি জিডি করলাম। বিষয়টা এখন পুলিশ দেখছে।’

ফেসবুকে আমার নাম প্রচারে ব্যক্তিগত জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে বলেও জানান মাইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি সামাজিকভাবে অনেক ছোট হয়ে গেছি। আমার মনে হয় এর চেয়ে মার্ডার করাও ভালো ছিল।’

এই ঘটনার জন্য কাউকে সন্দেহ করেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘কাকে সন্দেহ করব বলেন। আর কেনই বা করব।’

মঠবাড়িয়া থানার উপ সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম থানায় এসে একটি জিডি করেন, যার নং ১/৩১। ওই জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার ছবি ব্যবহার করে কে বা কারা এক বৃদ্ধের সাথে তার ছবি পোস্ট করে। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।’

কারা এই ছবি ছড়িয়েছে সেটা শনাক্ত হয়েছে কি না-জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তারা জানতে পারেননি। তবে চেষ্টা চলছে।’

যে বৃদ্ধ লোকটির ঘাড়ে বসে থাকার ছবি প্রচার হয়েছে, তেমন কোনো মানুষ মঠবাড়িয়ায় খুঁজেও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পাঠকের মতামত

সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধা’ ও শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার ...