প্রকাশিত: ১৫/০৪/২০১৯ ১২:৪৫ পিএম
কম খরচে ভুটান যেতে চাইলে আপনাকে বেছে নিতে হবে সড়ক পথ। হিসেব করে খরচ করলে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যেই ঘুরে আসতে পারবেন। আর এ জন্য আপনার প্রথমেই প্রয়োজন ভারতের ট্রানজিট ভিসা। ভিসার মেয়াদ থাকে ১৪ দিন। অর্থাৎ আপনি যেদিন যাবেন তার কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ দিন আগে আপনাকে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে আবেদন করতে হবে।

যাত্রা শুরু করবেন যেভাবে

ভিসা পাওয়ার পর এবার যাওয়ার পালা। ঢাকা থেকে বুড়িমারি বর্ডারে যায় এস আর, মানিক আর নাবিলসহ কয়েকটি বাস। ভাড়া ৮৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা। রাত ৮ টার মধ্যে এসব বাস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়, পৌঁছে পরদিন সকালে। মনে রাখবেন বাংলাদেশের এ পাশের নাম বুড়িমারি আর ভারতের ওপাশের নাম চ্যাংড়াবান্ধা। আর বর্ডার খোলা হয় এখানে সকাল ৯ টায়। বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে যেতে হবে চ্যাংড়াবান্ধা, সেখানেও রয়েছে ফর্মালিটি। ইমিগ্রেশন শেষে এবার যাত্রার পালা। তবে, বর্ডারে খুব বেশি ডলার ভাঙাবেন না। চ্যাংড়াবান্ধা থেকে আপনাকে যেতে হবে জয়গাঁও বর্ডার। ট্যাক্সিতে চলে যেতে পারেন। সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা। ট্যাক্সিতে ৪০০ রুপি মতো খরচ পড়বে জনপ্রতি, রিজার্ভ দুই হাজার রুপি। চাইলে বাসেও যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে খরচ কমে আসবে অনেকটাই।

হেঁটেই ঢুকতে হবে ভুটান

জয়গাঁও বর্ডার গিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করে হেঁটেই ঢুকতে হবে ভুটান। জায়গাটির নাম ফুন্টসোলিং। এখানেই আপনাকে অন অ্যারাইভাল ভিসা দেবে। তারপর নিশ্চিন্তে ভুটান ঘোরার পালা। চাইলে সেদিন ফুন্টসোলিং থেকে যেতে পারেন। মোটামুটি কম খরচেই মিলবে ভালো হোটেল। এক রুম ১ থেকে দেড় হাজার টাকায় থাকতে পারবেন দুইজন। সময় বেশি না থাকলে সেদিন ফুন্টসোলিং না থেকে চলে যান পারো অথবা থিম্পুতে। বাসস্ট্যান্ড সেখানেই। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেষ বাস। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে পারো কিংবা থিম্পু যেতে পারেন। ভাড়া নিবে ২৫০ রুপী, সময় লাগবে ৬ ঘণ্টা। তবে হাতে সময় থাকলে একদিন থেকে ছোট্ট শহর ফুন্টসোলিং ঘুরে দেখতে ভুলবেন না। সুন্দর সাজানো গোছানো শহরের পাশ দিয়ে রয়েছে চলেছে নদী। বুদ্ধ পয়েন্ট, থিম্পু মনেস্ট্রি, রাজার বাড়িসহ বেশকিছু দৃষ্টিনন্দন জায়গা রয়েছে থিম্পুতে। শহরটি ঘুরে দেখতে একদিনই যথেষ্ট। ডিসেম্বরের দিকে ভুটান ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে চেলালা পাস ও দোচালা পাস ঘুরে আসতে ভুলবেন না। ভাগ্য সহায় থাকলে এখানে পেয়ে যাবেন বরফ। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত বরফ পড়ে এখানে।

ফেরার সময় মনে রাখবেন বুড়িমারি থেকে মূলত বাস ছাড়ে সন্ধ্যা ৬টায়। তাই ফুন্টসোলিং থেকে অবশ্যই ১২ টার মধ্যে বের হবার চেষ্টা করবেন। বের হবার সময় ঠিক আগের মতই সব ইমিগ্রেশন পয়েন্ট থেকে আপনার পাসপোর্টে এক্সিট সিল মারতে মারতে আসবেন একদম বুড়িমারি পর্যন্ত।

জেনে রাখুন

* ফুন্টসোলিং থেকে পারো অথবা থিম্পু যেতে চাইলে দিনের আলো থাকতে থাকতেই চলে যান। কারণ সেখানকার পথের সৌন্দর্য অসাধারণ।

* চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডারে টাকা থেকে রুপি করে নিতে পারবেন। সঙ্গে ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও পাসপোর্টের ফটোকপি রাখবেন।

* ট্রানজিট ভিসার ক্ষেত্রে আসা যাওয়ার সময় ভারতে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন। আর এ সুযোগে আপনি চাইলেই জলপাইগুড়ি কিংবা দার্জিলিং হয়ে একদিন কিংবা ২দিন ঘুরে আসতে পারবেন।

* ভুটানের টাকার নাম নুলট্রাম, তবে সেখানে সব যায়গাতেই ভারতীয় রুপি চলে। তবে আসার আগে কোনো নুলট্রাম থাকলে চেষ্টা করবেন অবশ্যই তা সেখানেই শেষ করে আসতে। কারণ এই নুলট্রাম আবার ভারতের বর্ডার এলাকা ছাড়া কোথাও চলে না।

পাঠকের মতামত

একটি পেঁয়াজের ওজন ৯ কেজি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ ফলাতে সক্ষম হয়েছেন ব্রিটিশ এক কৃষক। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ...