প্রকাশিত: ০৬/০৬/২০১৮ ৯:১৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:০৮ এএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কারণে উখিয়া – টেকনাফে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ক্যাম্প স্থাপন ও রান্নার জন্য বনের গাছ কাটায় উজাড় হচ্ছে শত শত একর বন। বেড়েছে বন্যপ্রাণী শিকার। বন্যপ্রাণীর আবাসভূমিও নষ্ট হচ্ছে। পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। দ্রুত রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার সমাধান না হলে উপকূলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর মুক্তি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বসতি :কক্সবাজারের পরিবেশ সংকট’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও গ্রিন ভয়েস।

সংবাদ সম্মেলনে বাপার সহসভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু এর ফলে পাহাড় কাটা ও বনাঞ্চল শেষ হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। আর কক্সবাজারের বন ধ্বংস হলে তার খেসারত দিতে হবে সারাদেশকে। তাই দেশের স্বার্থেই সফল কূটনীতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে বাপার কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর কক্সবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। তাদের বসতির ফলে ৫০০ কোটি টাকার বন উজাড় হয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে। সব মিলিয়ে কক্সবাজারে মরুকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা বসতির জন্য কক্সবাজারে প্রায় সাড়ে চার হাজার একর সংরক্ষিত বন ধ্বংস হয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফে পাহাড় কেটে, বন ধ্বংস করে একের পর এক রোহিঙ্গা ক্যাম্প গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পাহাড়ি এলাকা ও টেকনাফ উপদ্বীপ পরিযায়ী পাখির আন্তর্জাতিক উড়ালপথের অংশ। দীর্ঘ পথ ওড়ার পর এখানে কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নেয়। বিশ্রামের পরিবেশ নষ্ট হলে পাখিরা এ পথ ছেড়ে দেবে। এতে কিছু প্রজাতির পাখি বিপন্ন হবে।

তিনি বলেন, হাতি চলাচলের পথ আটকে রোহিঙ্গা বসতি স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সুপেয় পানির সমস্যা বড় আকার ধারণ করেছে। সামনের বর্ষায় কাটা পাহাড়ের ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহম্মেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, গত নভেম্বরের স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে দেখা গেছে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর উখিয়ায় ১১ দশমিক ১ শতাংশ বনভূমি উজাড় হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল মতিন, যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, হুমায়ন কবির সুমন প্রমুখ।

পাঠকের মতামত

কঠোর নির্দেশনার পরও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা ছাড়ছে না ভোটের মাঠ

সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিতে কঠোর নির্দেশনা ...

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীদের নিতে জাহাজ আসবে এ সপ্তাহেই

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসা দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফের ...