প্রকাশিত: ১৩/০৫/২০১৮ ৬:৫৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:০১ এএম

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের কলকাতায় একটি বাসে একজন নারীকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করার অভিযোগে পুলিশ একজন মাঝবয়সী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

ওই নারী লোকটির ওই আচরণের দৃশ্য নিজের ফোনে রেকর্ড করেন – এবং পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করার ঠিক আট ঘণ্টা পর, কলকাতা পুলিশের ভাষায় ‘শহর চষে ফেলে’ তারা শনিবার রাতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরে ফেলে।

পরে কলকাতা পুলিশের নিজস্ব ফেসবুক পোস্টে ওই ব্যক্তির ছবি দিয়ে লেখা হয়, ‘ইনিই তিনি। ধরা পড়েছেন। শাস্তি হবেই, ভরসা রাখুন।’

ওই নারী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, শনিবার দুপুরে তিনি যখন বন্ধুর সাথে উত্তর কলকাতার হেদুয়া থেকে ৩০বি/১ রুটের একটি বাসে চেপে যাচ্ছিলেন, তখন ওই ব্যক্তি আচমকাই তাকে উদ্দেশ্য করে ওই জঘন্য কাজটি করতে শুরু করে।

চলন্ত বাসে নিজের সিটে বসে প্যান্টের জিপার খুলে পুরুষাঙ্গ বের করে তিনি ওই মহিলার দিকে তাকিয়ে হস্তমৈথুন করতে থাকেন।

তিনি বাস কন্ডাক্টরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সে হাসতে হাসতে বলে “আমি কী করতে পারি, বলুন? কার মনে কী আছে সেটা আমি কী করে জানব?”

তখন “ওই লোকটি নোংরামো করছেন, ওকে আপনারা ধরুন,” বলে সেই নারী চিৎকার করে উঠলেও বাসের যাত্রীরা কেউ কোনও প্রতিবাদ করেনি, তারা সবাই চুপচাপ বসেছিল বলেই তিনি জানাচ্ছেন।

এমন কী, তার সঙ্গে এই ঘটনা প্রথম নয় বলেও তার দাবি। দিন-পনেরো আগেও এই একই ব্যক্তি আর একটি বাসে ওই মহিলাকে উদ্দেশ্য করে একই ধরনের নোংরামো করলেও তখনও বাসের কন্ডাক্টর বা যাত্রীরা কিছুই করেননি বলে তার অভিযোগ।

এবার আর তিনি অবশ্য বিষয়টা উপেক্ষা করেননি। নিজের মোবাইলেই ওই ব্যক্তির ছবি রেকর্ড করে নিয়ে তিনি পরে ফেসবুকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে পোস্ট করেন, আর সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে হুলুস্থুল পড়ে যায়।

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ভেতর তার পোস্টে ২৫০০০ কমেন্ট পড়ে যায়, প্রায় চল্লিশ হাজারের মতো লোক সেটি শেয়ার করেন।

রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কলকাতা পুলিশ জানায়, তারা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আরও বলা হয়, প্রিয়াঙ্কা দাস নামে ওই নারীর ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছিল।

ফেসবুকে কলকাতা পুলিশের স্ট্যাটাসফেসবুকে কলকাতা পুলিশের স্ট্যাটাস

পুলিশ তার নাম পরিচয় প্রকাশ করে বলেছে, তিনি একজন হকার।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুব কম সময়ের মধ্যে ধরতে পারায় সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই যেমন কলকাতা পুলিশের তারিফ করছেন, তেমনি বাসের সহযাত্রীরা এই ঘটনায় হাত গুটিয়ে থাকায় নিন্দারও ঝড় উঠেছে।

মাত্র কয়েকদিন আগে কলকাতার মেট্রো রেলে এক তরুণ-তরুণী নিজেদের মধ্যে আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় ছিলেন, তার প্রতিবাদে ট্রেনের সহযাত্রীরা স্টেশনে নেমে তাদের ব্যাপক মারধর করেছিলেন।

সেই ঘটনার পর কলকাতার ‘মরাল পুলিশিং’ বা নৈতিকতার মুরুব্বিগিরি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।

অনেকেই বলছেন, সেই ঘটনার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে গণপরিবহনে এরকম অসভ্যতা দেখেও কলকাতা কীভাবে চুপ থাকতে পারল, এটাই তাদের মাথায় ঢুকছে না!

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...