প্রকাশিত: ০১/০৩/২০১৭ ৯:১১ এএম

বাংলাদেশে বনের বাঘ হত্যা করলে ১৪ বছরের সাজা দেওয়ার বিধান অাছে। অথচ সড়ক দূর্ঘটনার নামে চালকদের ব্যাপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে হাজার হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করছে।
যা সাম্প্রতিক সময়ের এক জরিপে দেখা গেছে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূণ মানুষ গুলোর অকাল মৃত্যু হয়েছে সড়ক দূঘর্টনায়। অার অকাল মৃত্যুর শীর্ষ বা প্রধান তালিকায়ও রয়েছে সড়ক দূঘর্টনা। যা বেশি ভাগই ঘটেছে অদক্ষ চালক অার চালকদের ব্যাপরোয়ার কারণে।
কিন্তু এই পযর্ন্ত তেমন উল্লেখিত কোন চালকের শাস্তি দেয়নি সরকার বা দেশের চলমান অাইন-অাদালত। যার কারণে চালকগণ পার পেয়ে অারও বেশি ব্যাপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে কিছু দিন পূর্বে দেশের সবচেয়ে মেধাবী সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং চলচিত্র নিমার্তা মিশুক মনির ও তারেক মাসুদের সড়ক দূঘর্টনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় অাদালত ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। একজন চালকে ফাঁসির অাদেশ দিয়েছে অাদালত। হয়ত এটাই প্রথম সড়ক দূঘর্টনায় মানুষ হত্যার কারণে কোন গাড়ি চালকের শাস্তি। যা চালদের সতর্কসংকেত বলা চলে। কিন্তু রাষ্ঠ্রে কিছু স্বার্থলোভী মহল উক্ত রায়কে ততা অাদালতকে অমান্য করে দিনের পর দিন শ্রমিক ধর্মঘটের নামে পুরা দেশটিকে অচল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে মনে করছি। কারণ দেশ যখন তার নিজস্ব গতিতে চলে তখন একটি পক্ষ তাদের উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার লক্ষে অান্দোলনের পথ খুঁজে বেডায়। তেমনিই সুযোগ বুজে শ্রমিকদের অান্দোলনে নামিয়ে নিজ স্বার্থ হাচিল করা ছাড়া অার কিছু নয়। যখন কয়েকদিন পরে ধর্মঘট প্রতিহত করার জন্য সরকার পুলিশ দিয়ে চালকদের গাড়ি চালাতে বাধ্য করবে তখন হয়ত কয়েজন শ্রমিক মারা যাবে। দেশে অরাজগতা সৃষ্টি হবে। উচ্চমহল কিন্তু টিকই তাদের লেনদেন টিক করে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। টিক না খেয়ে মরবে সে অভাগা শ্রমিকরা। অজ্ঞ শ্রমিকরা বুঝেনা দেশের অাইন অমান্য করা অার ধর্মঘটের নামে তাদের নিজেদের ক্ষতি কত বেশি।
অামি বলব এই অযুক্তিক ধর্মঘটের কারণে চালকের ক্ষতিটাই বেশি। সুতরাং উসকানি দাতাদের কথা না শুনে নিজের কর্মে নিজেকে জড়িয়ে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যহার করা অামার দৃষ্টিতে দেশের স্বার্থে মঙ্গলজনক। অার যে চালকের ফাঁসির রায় হয়েছে সেটিও মেনে নেওয়ার যুক্তিক কারণ অাছে। তা হলো দেশের চলমান অাইনে দুই একজনকে এভাবে শাস্তির অাওতায় অানা হলে চালকরা জানতে পারবে তার জন্যও অাইন অাছে। সড়কে মানুষ হত্যা করা হলে তারও শাস্তি পেতে হবে।
টিক দেশে বনের বাঘ হত্যা করলে যেমন শাস্তি পেতে হয়, তেমনি সড়কে ব্যাপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা করলেও ফাঁসির মঞ্চে যেতে হয়।

###
লেখক…………
রফিক মাহমুদ
কবি, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মী

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...