অনলাইন ডেস্ক – আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ২৭ জানুয়ারির আগে যে কোনোদিন তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। আপনারা প্রস্তুত হোন, সময় আর বেশি নাই। তাই অক্টোবর মাসে আমরা মনোনয়ন পর্ব শুরু করে দিচ্ছি।
রোববার (০৭ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে আওয়ামী লীগের গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির খবর কী? আছে? অক্টোবর কবে হবে? আগস্ট মাসে বলে একমাসের কথা। সেপ্টেম্বর মাসে বলে আরেক মাসের কথা। সেপ্টেম্বর গেল, এখন বলে এক মাসের মধ্যে আন্দোলন হবে। দেশের চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাবে, বিশ্বাস করে মানুষ? বহুরূপী ব্যারিস্টারের কথা মানুষ কী বিশ্বাস করে?
বিএনপির এখন মূল ক্যাপিটাল হচ্ছে গুজব সন্ত্রাস। সাইবার অ্যাটাক বন্ধ করতে হবে স্লোগান দিলে হবে না। এই যে গুজব, আওয়ামী লীগ অফিসের নামে। এক মহিলাকে কালো কাপড় পরিয়ে নারীরা চিৎকার করে বলছে, ভিডিও পোস্টিংয়ে আমাকে আওয়ামী লীগ অফিসে রেপ করা হচ্ছে, আমাকে বাঁচান। এই সকল অপকর্ম কে করেছে? ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে ৪ নারী নাকি আটক। পরে আন্দোলনকারী ছেলেরা গিয়ে দেখলো হদিস নেই। মিথ্যা কথা প্রচার হচ্ছে, এই অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে যোগ করেন কাদের।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শোডাউনের নামে বিশৃংখলা করলে মনোনয়ন পাওয়া যাবে না উল্টো নম্বর কাটা যাবে। মনোনয়ন পাওয়া যাবে জনমতের ভিত্তিতে। আপনাদের সবার আমলনামা শেখ হাসিনার কাছে আছে। ক্যাডারের কারণে মনোনয়ন বাতিল হবে। যে নেতা ক্যাডারের কথায় চলেন, তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগে চাঁদাবাজ ও দখলদারদের জায়গা নেই।
তিনি বলেন, ক্ষমতার দাপট মানুষ পছন্দ করে না। যেসব নেতাকর্মী ইয়াবার ব্যবসা করে, মাদক ব্যবসা করে, দুর্নীতি করে জনগণ তাদের ভোট দেবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে আরও ২০/২৫ দিন সময় আছে। নম্বর যাদের ভালো আছে, ক্যাডারের জন্য নম্বর কিন্তু কমবে। যেই নেতা ক্যাডারের কথায় চলে ওই নেতার আমাদের দরকার নাই। মশারির মধ্যে মশারি চলবে না। ঘরের মধ্যে ঘর করলে চলবে না। ঠিকঠাক মতো চলেন, চাঁদাবাজদের, দখলদারদের প্রশ্রয় দিবেন না। চাঁদাবাজের জায়গা আওয়ামী লীগে নেই।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবাহান গোলাপ, ঢাকা আওয়ামী লীগের উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
পাঠকের মতামত