প্রকাশিত: ২২/১০/২০১৭ ১০:৩৯ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:৫৪ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমার সেনা বাহিনীর নির্যাতনের ভয়াবতা আরেকবার সামনে এনেছে হিউম্যান রাউটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
মানবাধিকার সংস্থাটির স্যাটেলাইটে ধারণ করা ছবিতে দেখা গেছে, গত ২৫ আগস্টে পর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিমদের ২৮৮টি গ্রাম আংশিক অথবা পুরোপুরি পুড়িয়ে দিয়েছে।

তবে একই সময়ে রাখাইনের এসব এলাকায় অন্যান্য বিশেষ করে বৌদ্ধদের ঘরবাড়ি অক্ষত রয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট সহিংসতার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বলা হচ্ছে, এটা এখন পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা শরণার্থী সংকট।

রাখাইনে সেনাবাহিনীর এই দমনপীড়নকে জাতিসংঘ ‘পাঠ্যবইয়ে জাতিগত নিধনের উদাহরণের’ সঙ্গে তুলনা করেছে।

তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, বেসামরিক জনগণ তাদের লক্ষ্যবস্তু নয়।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে রাখাইনের যে ছবি তুলেছে, তা বিশ্লেষণ করে হিউম্যান রাউটস ওয়াচ বলছে, ২০১৭ সালের আগস্টের পর উত্তর রাখাইনে আগুনে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক পুড়ে গেছে অন্তত ২৮৮টি গ্রাম।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বহু এলাকা যেখানে রোহিঙ্গাদের গ্রাম ছিল সেসব এলাকা পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু, কাছেই রাখাইনের স্থানীয় বৌদ্ধদের গ্রামগুলো অক্ষত রয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ২৫ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মংডুর শহরতলীতে। এর মধ্যে তাদের হিসাবে, সবচেয়ে বেশি গ্রাম ধ্বংস হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বরের পর যখন দেশটির নেত্রী অং সান সুচি বলেছিলেন, সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শেষ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এখন বাস করছেন কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন শিবিরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় শিবির কুতুপালংয়ের পরিধি আগস্ট মাসের পর বাড়ানো হলেও আশপাশে অস্থায়ী শিবিরগুলোতে এখন রয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার রোহিঙ্গা।

সর্বশেষ এ সপ্তাহে যে ১৫ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকেছেন। তারা বলছেন, রাখাইনে ঘরবাড়ি জ্বালানো এখন বন্ধ হলেও নির্যাতন এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

এসব রোহিঙ্গারা বিবিসি বাংলার সাংবাদিকদের বলেছেন, রাখাইনে রুজি রোজগারের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ছাড়া তাদের আর কোনো গতি নেই।

পাঠকের মতামত

বৈশ্বিক অনুদান কমায় রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিশু শিক্ষার পরিস্থিতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান ...

যে কারনে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ট্রাম্প

এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পাবলিকান আইনপ্রণেতা ...

ট্রাম্পের অনুরোধে ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছে কাতার

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তেহরানকে রাজি করাতে মধ্যস্থতা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ...