
নিউজ ডেস্ক::
নারী ও শিশুসহ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ২১ জনকে আটক করে তাদের ‘বেঙ্গলি’ হিসেবে প্রচার করছে মিয়ানমার। থাইল্যান্ডে নির্বাসিত বার্মিজ নাগরিকদের গণমাধ্যম দ্য ইরাবতীর ইংরেজি সংস্করণে গতকাল রবিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে ইরাবতীর নুয়াং অঞ্চলে একটি ট্রাক থেকে পুলিশ ২১ রোহিঙ্গাকে আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়েছে। ওই রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যের শিবিরে ছিল। রোহিঙ্গা শিবির ছেড়ে তারা মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে যাচ্ছিল।
ঢাকার কর্মকর্তারা বলেছেন, ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। আরো অনেকে অন্যত্র পালিয়ে গেছে। বর্তমানে মিয়ানমারে রোহিঙ্গার সংখ্যা সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য না থাকলেও এ সংখ্যা দুই-তিন লাখ হতে পারে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি চলছে। তবে ২১ রোহিঙ্গাকে আটক করার ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের দৃষ্টিভঙ্গি মোটেও বদলায়নি। এর আগেও রোহিঙ্গাদের শিবিরের বাইরে যেতে দেওয়া হতো না। কার্যত একটি এলাকার মধ্যে তারা বন্দি ছিল। মিয়ানমার এখনো সেই নীতি অনুসরণ করছে।
এ ছাড়া মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ‘বেঙ্গলি’ বলবে না বলেও বাংলাদেশকে কথা দিয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার বারবার তা লঙ্ঘন করছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নয়, তৎকালীন ‘বেঙ্গল’ (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে মিয়ানমারে ঢুকেছে এমনটি বোঝাতেই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের ‘বেঙ্গলি’ নামে ডেকে থাকে। রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মিয়ানমার স্বীকার করে না।
পাঠকের মতামত