প্রকাশিত: ২৩/০১/২০২১ ১০:১০ এএম

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার সহায়তায় বিশ্ব বাণিজ্য সুসংহত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘এশিয়া সহযোগিতা সংলাপের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে একটি টেকসই এবং স্থিতিশীল সরবরাহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমেই এটা সম্ভব।

‘নতুন স্বাভাবিক, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পর্যটন’ শীর্ষক এসিডির ১৭তম মন্ত্রিপর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এসব কথা বলেন। গতকাল তুরস্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলু চাভুসৌলু।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নিহিত রয়েছে। ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতিতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা পরিবেশগত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।

এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি উদ্ভূত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দেশীয় পর্যটনগুলোর উন্নয়ন একটি অন্যতম সম্ভাব্য উপায় হতে পারে। তিনি জানান, কোভিড-১৯ মহামারির ফলে ২০২০ সালে বাংলাদেশের এই উদীয়মান পর্যটন খাতের মোট ক্ষতি প্রায় ১৮০ বিলিয়ন টাকা।

শাহরিয়ার আলম বলেন, পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রায় তিন হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলো পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, সবার সদিচ্ছাই পারে বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসবাদ এবং গণহত্যার মতো সব ধরনের সহিংস কার্যক্রম বন্ধ করতে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ‘সংযোগ এবং আঞ্চলিকতা’র প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশকে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর।

এ সময় জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশসমূহ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগগুলোকে বিবেচনা করে করোনা মহামারির দীর্ঘমেয়াদি আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিরসনের লক্ষ্যে সব সেক্টরে নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়।

এ বৈঠকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় মহামারি দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন খাতকে একটি অপরিহার্য স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

টেকসই অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং সুরক্ষিত ভ্রমণ ও পর্যটন নিশ্চিত করার মাধ্যমে এসিডি অঞ্চলে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে বৈঠকে উপস্থিত নেতারা একমত পোষণ করেন।

এসিডির বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন তুরস্ক, কম্বোডিয়া, ভুটান, নেপাল, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, কুয়েত, বাহরাইন, কাজাখস্তান, লাওস ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মালয়েশিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, চীন, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সুত্র: বাসস

পাঠকের মতামত

খেলাভিত্তিক শিক্ষায় ব্র্যাকের তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠান

শিশুদের খেলাভিত্তিক শেখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও মনোসামাজিক বিকাশ নিশ্চিতে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ...

১২ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ...