
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে এবার জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনি সংস্থা পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি গ্রুপ (পিআইএলপিজি)। সংস্থাটি বলছে, রাখাইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার মতো বিষয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছিল, তদন্তে তার বিশ্বাসযোগ্য ভিত্তি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আগামী সোমবার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গত সেপ্টেম্বর মাসে পিআইএলপিজির গবেষণার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। এতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিতাড়নে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হত্যা, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ পরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে পরিচালনা
করেছে। তবে কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বা ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে প্রতিবেদনে আখ্যায়িত করেনি, যা নিয়ে দেশেটির বিভিন্ন মহলে তুমুল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বলা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার রাখাইনের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিলে তাদের মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হতো। কিন্তু বৈশ্বিক রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয়। সে জন্যই বিষয়টি প্রতিবেদনে এড়িয়ে যায় ওয়াশিংটন।
ওই তদন্তের আইনি বিশ্লেষণ প্রকাশের পরিকল্পনা করে পিআইএলপিজি বলছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার গ্রহণযোগ্য ভিত্তি আছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে পিআইএলপিজি। গত মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে তারা প্রকৃত তথ্য পেতে ওই গবেষণা চালায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, রাখাইনের ঘটনা নিয়ে তাদের সরকারের তদন্তের লক্ষ্য একে কেবল গণহত্যা হিসেবে চিহ্নত করা নয়, বরং ঘটনার তথ্যপ্রমাণের দলিল তৈরি করা। ভবিষ্যতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন কিনা, তার ওপর নির্ভর করছে এটা
পাঠকের মতামত