প্রকাশিত: ১৮/১০/২০১৭ ৭:৩০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:০৮ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারের রাখাইনে সমুদ্র বন্দরের ৭০ ভাগ মালিকানা চীন পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটি জ্যেষ্ঠ এক সরকারি কর্মকর্তা।

এদিকে, মিয়ানমারে অর্থনেতিকভাবে চীনের মাথা চাড়া দিয়ে উঠার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগও তৈরি হয়েছে।

মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

মিয়ানমার সরকারের পক্ষে ওই প্রকল্প কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও মং বলেন, দেশটির উত্তর রাখাইন রাজ্যে ৭ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে চীনের নেতৃত্বাধীন সিআইটিসি গ্রুপের কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে আলোচনায় অংশীদারিত্বের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছে মিয়ানমার।

মং আরো বলেন, এর আগে ওই সমুদ্র বন্দরটির ৮৫ ভাগ পাওয়ার কথা ছিল চীনের। তবে দেশটির জনগণ মনে করছে ৮৫/১৫ ভাগের চুক্তি মিয়ানমারের জন্য সুবিধাজনক হয়নি।

জনগণ এতে দ্বিমত পোষণ করেছেন এবং সরকার এর চেয়ে একটি ভালো চুক্তির চেষ্টা করছে-বলেন মং।

ও মং আরো বলেন, নতুন প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিওর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দুপক্ষই এখনো পর্যন্ত অর্থায়নের ব্যাপার নিয়ে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি। প্রকল্পটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতে আরো আলোচনার প্রয়োজন হবে।

তবে বেইজিং ভিত্তিক সিআইটিসি এই ব্যাপারটি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সিআইসিটিসির মিয়ানমারের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট জুয়ান সাওবিন গত সোমবার মিয়ানমার টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কোম্পানিটি মিয়ানমারকে সমুদ্র বন্দরের ৩০ ভাগ দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু অর্থায়নের বিষয়টি নিয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন আছে।

পাঠকের মতামত

বিদেশে থাকা নাগরিকেরা ফিরতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে: মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান

জান্তা শাসনামলে মিয়ানমারের যেসব নাগরিক দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যত্র চলে গেছেন, তাঁরা চাইলে আবার ...

মিয়ানমারের নাগরিকদের ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

টেম্পোরারি প্রোটেকটেড স্ট্যাটাস’ (টিপিএস) কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য চলমান ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ (টিপিএস) বাতিলের ...

শান্তি চুক্তিতে রাজি না হলে ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির কাঠামোতে সম্মত না হলে কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য ...