প্রকাশিত: ১০/০৬/২০১৭ ১১:৪৮ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৪৫ পিএম

নিউজ ডেস্ক: ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড পরিকল্পনার আওতায় বঙ্গোপসাগরের কিয়ায়ুক পিউ সমুদ্র বন্দরটির পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে চীন। আর তারই জের ধরে মিয়ানমারের এই সমুদ্র বন্দরের ৮৫ শতাংশ মালিকানা দাবি করেছে চীন। খবর রয়টার্সের।

এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, সমুদ্র বন্দরটি চীনের জন্য কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিতে ৮৫ শতাংশ মালিকানার দাবি জানিয়েছে বেইজিং। এই সমুদ্র বন্দর দিয়ে এশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি, মিয়ানমারে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা এই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি করছে বলেও জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, চীনের হয়ে মালিকানার এই প্রস্তাবটি দিয়েছে দেশের সিটিক গ্রুপ। কোম্পানিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৭.৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে তারা ৭০-৮৫ শতাংশ মালিকানা। দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নথিটি পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স এবং আলোচনায় জড়িত তিন ব্যক্তির সঙ্গেও কথা বলেছে। এই তিন ব্যক্তির মধ্যে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই সিটিক গ্রুপ ও মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারের আধিকারিকরা রয়েছেন। দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত বছর মিয়ানমার যৌথ মালিকানায় ৫০/৫০ শতাংশের প্রস্তাব করেছিল। চীনা সিটিক এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

অন্যদিকে অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র জানায়, গত মাসে মিয়ানমারের বিতর্কিত মিইয়ুটসোন বাঁধ প্রকল্পে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছিল চীন। এই সমুদ্র বন্দরটি চীনের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন চীনে আসার প্রবেশমুখ হিসেবে বন্দরটি কাজ করবে। যার ফলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানীর বিকল্প একটি রুট তৈরি হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম : ইইউ

সামরিক শাসিত মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের। কারণ এই নির্বাচন ...

‘হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে সহিংসভাবে করব’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ...