
পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে তিন দিনের ব্যবধানে ফের তিন দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওইসব দোকানে রক্ষিত সিসিটিভি’র ফুটেজ দেখেও জড়িতদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পেকুয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বাহাদুর শাহ মার্কেটের সেলিম ক্রোকারিজ, ইব্রাহিম বেডিং হাউস ও রুবেল হেয়ার সেলুনে চুরি সংগঠিত হয়। এসময় সেলিম ক্রোকারিজের ক্যাশবাক্সের তালা কেটে ১লাখ ২৫ হাজার, রুবেল এর সেলুন থেকে ৮হাজার ৩শত ও ইব্রাহিম বেডিং হাউস থেকে ১৮হাজার ৫শ টাকা নিয়ে যায় চোরের দল। কঠোর পাহারাদার বেষ্টিত এ বাজারটিতে গত ১৫ফেব্রুয়ারীও অর্ধডজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি হয়েছিল। তখনকার চুরির ঘটনাটি সিসিটিভি রেকর্ডয়ে ১জন চোরসহ চুরির দৃশ্যটি ধারণ করা থাকলেও প্রশাসন ও বাজার কমিটি তড়িৎ প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় আবারো চুরি সংগঠিত হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ধারণা। এছাড়াও পাহারাদার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগও করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
স্থানীয়রা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহে ছয়টি দোকান সিরিজ চুরি হওয়ায় খুবই আতংকের মধ্যে আছি। লাখ লাখ টাকা পুজি দিয়ে ব্যবসা করছি। আর যদি তা চোরে নিয়ে যায় আমরা কিভাবে ব্যবসা করবো।
সেলিম ক্রোকারিজের ভিতর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) বসানো ছিল। সেখানে ৪টা থেকে ৪টা ১৮মিনিট পর্যন্ত রেকর্ডকৃত চুরির দৃশ্যটি পুরোপুরি রেকর্ড হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে একজন মাত্র চোর প্রথমে গ্রীলের ৩টি তালা কাটে। সেসময় তার পুরো চেহেরা দেখা যাচ্ছে। তারপর একটু সময় নিয়ে বাইরে গিয়ে পাহারাদার আছে কিনা দেখে আসে। পাহারাদার না থাকার সুযোগে ওই চোর দোকানের ভিতর থাকা ৬টি ক্যাশবাক্সের তালা ভেঙ্গে ১লাখ ২৫হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। তারপর ওই দুটি দোকানও ঠিক একইভাবে চুরি করে ওই একজন চোর।
এব্যাপারে সেলিম ক্রোকারিজের মালিক মোঃ সেলিম জানান, ভোর ৪টা থেকে ৪টা ১৮মিনিট পর্যন্ত তার দোকানে একজন চোর ঢুকে। সে চোর দোকানে রক্ষিত ১লাখ ২৫হাজার টাকা নিয়ে যায়। দোকানের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি বসালাম। চোরের চেহেরাও দেখা যাচ্ছে। চোর আটক হবেনা। তাহলে এ সিসিটিভি ক্যামেরা রেখে লাভ কি।
এদিকে গত ১৫ফেব্রুয়ারী পেকুয়া মেডিকেল সেন্টারসহ আরো ৫/৬টি দোকান ও মসজিদ মাদ্রাসায় চুরি হয়। সেখানেও চুরির বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়। সেখানেও একই চেহেরার একজন চোর চুরি করে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়। বিষয়টি তারা তাৎক্ষনিকভাবে পেকুয়া থানা ও বাজার সমিতির নেতৃবৃন্দকে অবগত করে। তারা কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি বলে ওই ভোক্তভোগিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন জানান, পেকুয়া বাজারে দোকান চুরির বিষয়টি উদ্বেগজনক। রেকর্ড অনুযায়ী ওই চোরকে সনাক্তের চেষ্টা চলছে। পুলিশকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। এছাড়াও পুরাতন সব পাহারাদারকে আমরা বাদ দিয়ে শীঘ্রই নতুন পাহারাদার নিয়োগ দিচ্ছি। ভোরে তাৎক্ষনিকভাবে থানার ডিউটি অফিসার চুরি হওয়া দোকানগুলো পরিদর্শন করেছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মুহাম্মদ মুস্তাফিজ ভুঁইয়া জানান, পেকুয়া বাজারে এর আগেও কিছু দোকান চুরি হয়েছিল। আমরা দ্রুত প্রদক্ষেপ নিয়েছিলাম। আবারো চুরি হচ্ছে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত