প্রকাশিত: ২৪/০১/২০১৭ ৩:৩০ এএম
উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘উপনিবেশিক ধ্যান-ধারণার পরিবর্তে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পুলিশের সেবা আরও জনবান্ধব করতে হবে।’সোমবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের পুলিশ স্বাধীন দেশের পুলিশ বাহিনী। কাজেই তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে দায়িত্ববান হতে হবে। কাজ করতে হবে জনসেবার মানসিকতা নিয়ে। শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে আরও জোরদার করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে অসহায় বিপন্ন মানুষের জন্য অকুণ্ঠ চিত্তে সেবার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। শুধু দেশেই নয়, আজকে আমাদের পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে। এ মিশনে নিজেদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য ব্যাপক প্রশংসাও অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা জাতিসংঘ মিশনসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা দেশের আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু দেশি-বিদেশি চক্র নানাভাবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চায়। গণতান্ত্রিক পথে মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়ে এরা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। যুব-কিশোরদের ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা করে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশে নয়, এটা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। যা আমাদের উন্নয়নের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
পুলিশের কাজের পরিধি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের পুলিশের কর্মক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু চুরি-ডাকাতি, হত্যা-রাহাজানি বন্ধ নয়, আজ তারা সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিং, মাদক পাচার, পণ্য চোরাচালন, নারী-শিশু পাচার এমনকি জলজ-বনজ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার স্থীতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ও সমুন্নত রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করা হয়েছে।’
পুলিশ পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত বিপুল সংখ্যক পদক আগে কখনও দেওয়া হয়নি। আপনারা পেয়েছেন কাজের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং জনগণকে নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য। এই পদক আপনাদের কাজের স্বীকৃতির পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরও পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আইজিপির পদকে সিনিয়র সচিব হিসেবে করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আইজিপি এখন সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। কন্সটেবলদের জন্য ঝুঁকি ভাতা প্রদান করা হয়েছে। আবাসন সমস্যা আমরা সমাধান করছি।’
এ সময় হলিআর্টিজান ও শোলাকিয়া, কল্যাণপুর, আশকোনায় জঙ্গিবিরোধী পুলিশি অভিযানের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত করতে কাজ করছি। দক্ষিণ-এশিয়ায় বাংলাদেশ হবে সব থেকে শান্তিপূর্ণ দেশ। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
পরে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন পূর্বে বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুলিশ সদস্যদের মাঝে পদক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন।

পাঠকের মতামত

জাতীয় সমাবেশে অসুস্থ জামায়াত আমির, খোঁজ নিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ...