প্রকাশিত: ১৬/০৭/২০২২ ৩:৪০ পিএম
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ / ছবি : ওবাইদুল হক চৌধুরী

দোহাজারী-কক্সবাজার রুট / ছবি : ওবাইদুল হক চৌধুরী

স্বপ্নপূরণের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে রেল লাইন প্রকল্পের কাজ। গত জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৭২ শতাংশ।

বাকি ২৮ শতাংশ কাজ শেষ হলেই আগামী বছরের জুনে ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেনে কক্সবাজারে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হবে ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ৪০ কিলোমিটার রেল লাইন বসানোর কাজ।

এই ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান জানান, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে আমরা কাজ করছি। যদিও আমার প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত কিন্তু আগামী বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে আমাদের ট্রেন চালাতে হবে। তাই ২০২৩ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি। এরপর এই রেলপথে ট্রেনের ট্রায়াল শুরু হবে। গত জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মোট অগ্রগতি ৭২ শতাংশ।

বাকি ২৮ শতাংশ কাজ শেষ হলেই আগামী বছরের জুনে ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেনে কক্সবাজারে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হবে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মোট ৪০ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।

কক্সবাজার অংশের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম অংশে ৫ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপন করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, হারবাং এবং রামু এলাকায় ৩৫ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৬০ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের পাশাপাশি চলছে সিগন্যালিং তার টানার কাজ। মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে ৮৫ শতাংশ। ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে মেজর ও মাইনর ব্রিজ এবং কালভার্টগুলোর কাজ।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, চকরিয়া থেকে কক্সবাজার অংশে ২০টি সেতুর মধ্যে ১৮টির কাজ শেষ হয়েছে। বসানো শেষ হয়েছে রেল লাইন। দোহাজারী-চকরিয়া অংশে ১৯টি সেতুর মধ্যে সাঙ্গু নদীর ওপর একটি, মাতামুহুরী নদীর ওপর দুটি এবং বাঁকখালী নদীর ওপর একটি বড় রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনটি সুদৃশ্যমান হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। বাকি ৮টি স্টেশনের মধ্যে বেশ কয়েকটি শেষের দিকে। এর মধ্যে ডুলাহাজারা রেল স্টেশনের কাজ শেষের দিকে। দোহাজারী, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ঈদগাঁও এবং কক্সবাজার রেল স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। শুরু হয়েছে সাতকানিয়া এবং রামুতে রেল স্টেশন নির্মাণের কাজও। সব মিলে ৪০ কিলোমিটার পথে রেল লাইন বসেছে।

এদিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল লাইন নির্মাণের কাজের অগ্রগতির সাথে সাথে এই রুটে ট্রেন চলাচলের জন্যও রেল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি শুরু করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেনের পাশাপাশি বিভিন্ন রুটে চলাচলের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৫০টি নতুন মিটারগেজ কোচ আমদানি করা হচ্ছে।

এজন্য বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে পর্যটক বান্ধব নতুন ট্রেনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে কক্সবাজার রুটে সরাসরি ঢাকা থেকে এবং চট্টগ্রাম থেকে পর্যটকবাহী নতুন ট্রেনের জন্য আধুনিক উচ্চগতির কোচ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

চলতি অর্থ বছরে এবং আগামী অর্থ বছরে এই কোচ কোচ দেশে আসবে বলে জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস. এম. সলিমুল্লাহ বাহার। তিনি বলেন, আমাদের নতুন আরো ১৫০টি মিটারগেজ কোচ আসছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। নতুন কোচ দিয়ে কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালানো হবে।

রেলওয়ের প্রকল্প সংক্রান্ত নথি অনুসারে, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এতে ঋণ সহায়তা দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রথম দুইভাগে কাজটি করছে

পাঠকের মতামত

১২ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ...

জামিন বাতিল, মহেশখালীর তোফায়েল হত্যা মামলায় ৭ জন কারাগারে

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা জুলাই অভ্যুথানে নিহত শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর ...

ফেসবুক পোস্ট দিয়ে ছাত্রশক্তি নেত্রীর পদত্যাগ‘জুলাইয়ে থানার বাইক চোরের কাছে অনেক সময় হেরে যাই’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি কক্সবাজার জেলা শাখার সদ্য ঘোষিত নতুন কমিটি’র ...