
কক্সবাজারে জিমে চুরি করে বিপাকে পড়েছেন এক চোর। যাকে শাস্তি হিসেবে করানো হয় ব্যায়াম। কিন্তু কয়েক মিনিট ব্যায়াম করে ৩য় তলা থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায় এই চোর।
শুক্রবার (১১ জুলাই) এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংস্থ বকতিয়ার মার্কেটের ৩য় তলায় পাওয়ার জিম সেন্টারে।
পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পাওয়ার জিম সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ২৭ জুন শুক্রবার দুপুরে জিম বন্ধ করে জুমার নামাজ পড়তে যায়। এসময় তালা ভেঙ্গে চোর জিম সেন্টারের ভেতরে ঢুকে যায়। পরবর্তীতে জিম সেন্টারের আইপিএস, ব্যাটারি, তার এবং কিছু যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়। পরে নামাজ শেষে জিমে এসে দেখি অনেক জিনিসপত্র এলোমেলো, কিছু জিনিসপত্র নেই। এরপর সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে জিমের জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে এক যুবক। এরপর বিষয়টি নিয়ে আর কোথাও যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘পুলিশের লুট হওয়া’ বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ আটক ১
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যুবকের ছবি যখন সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে এরপর থেকে জিম করতে আসা ছেলেরা ওই চোরকে খুঁজতে থাকে। আর বুধবার (৯ জুলাই) ওই চোরকে কুতুপালং বাজারে পেয়ে জিমে নিয়ে আসে। তখন আমি জিমে ছিলাম না এবং ছেলেদের নিষেধ করেছি মারধর না করার জন্য। কিন্তু চোরকে মারধর না করে শাস্তি হিসেবে প্রায় ৪ মিনিট ব্যায়াম করতে দেয়। এসময় ওই চোরকে কয়েক ক্যাটাগরিতে ব্যায়াম করায়। যা জিমে আসা ছেলে ভিডিও করে। কিন্তু ওই চোর এক পর্যায়ে জিমের ৩ তলা থেকে লাফ দিয়ে টিনশেডের ওপর পড়ে পালিয়ে যায়। তবে তার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে সে মাদকসেবন করে বলে জানায় এবং মাদকসেবনের জন্য সে চুরি করে বলেও জানায়।
তবে চোরের শাস্তি হিসেবে ব্যায়াম করার ভিডিওগুলো ছাড়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে ভিডিওগুলো দিয়ে লেখা হয়, ‘এক লোক পাওয়ার জিমে চুরি করতে এসেছিল, কিন্তু হাতে ধরা পড়েছে এবং আমাদের উদার হৃদয়ের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে শাস্তি দিয়েছেন।
যা শুক্রবার ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই অনেক ফোন করছেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বলেও জানায় পাওয়ার জিম সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন
পাঠকের মতামত