প্রকাশিত: ২৯/০৪/২০১৮ ৭:২৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৩১ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
আসন্ন বর্ষা মৌসুমের সম্ভাব্য পাহাড়ধস থেকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ বসতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে কাটা পাহাড়গুলোতে পরিকল্পিতভাবে বসতি নির্মাণের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। প্রথম দফায় তুর্কি রেড ক্রিসেন্ট কাটা পাহাড়ে ২০০ পরিবারের জন্য বসতি নির্মাণ করছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে সরিয়ে এনে এসব বসতিতে রাখা হবে।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ‘জি’ ব্লকের ‘কিউ কিউ’ জোনে গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এসব বসতি স্থাপনের দৃশ্য দেখা গেছে। তুর্কি রেড ক্রিসেন্ট প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ প্রথম পর্যায়ে ২০০ পরিবারের জন্য এসব বসতি নির্মাণ করছে। কাটা পাহাড়ের বুকে সারি করে ঘরগুলো তৈরি করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাসেরও ব্যবস্থা থাকছে।

তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান প্রচণ্ড রোদে দাঁড়িয়ে প্রকল্পের কাজ তদারক করছিলেন। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে তুর্কি রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ২০০ পরিবারের জন্য ঘর করে দিচ্ছে। পাহাড়ধস ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এমনকি ঘরগুলো করা হচ্ছে পাহাড়ের স্তরে স্তরে।

তুর্কি রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা আরো জানান, ঘরের তলা পাকা হবে। বাঁশের খুঁটি ও বেড়ার ঘরটির ছাউনি হবে ত্রিপলের। এ রকম করে প্রতিটি পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে ঘর করা হলে অনেকগুলো ঘর নির্মাণ সম্ভব। সে ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা পরিবারের স্থান সংকুলান হবে। গত এক সপ্তাহের কাজে ২০০ পরিবারের পরিকল্পিত ঘর নির্মাণে বেশ অগ্রগতি রয়েছে।

কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ‘কিউ কিউ’ জোনের ২০০ পরিবারের পরিকল্পিত বসবাস এলাকায় দুটি গভীর নলকূপও স্থাপন করা হবে। এখানে সৌরবিদ্যুতেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। সেই সঙ্গে স্থাপন করা হবে একটি বিদ্যালয়ও। রোহিঙ্গা পরিবারের সন্তানরা এখানে পরিকল্পিত জীবনযাপনের পাশাপাশি শিক্ষাদীক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ পাবে। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ রকম পরিকল্পিত রোহিঙ্গা বসতি পর্যায়ক্রমে আরো গড়ে তোলা হবে। দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থাগুলো এ রকম বসতি স্থাপনে কাজ করবে।

তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের পরিকল্পিত প্রকল্পে কাজ করছেন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ জোবায়ের। দৈনিক ৪০০ টাকা বেতনে কাজ করছেন তিনি। জোবায়ের বলেন, তাঁরা একসঙ্গে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাই সাহায্য সংস্থাগুলো হয়তো বা তাত্ক্ষণিক পরিকল্পিত বসতি স্থাপন করে দিতে পারেনি। এখন তারা পরিকল্পিতভাবে ঘর করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এ রকম পরিকল্পিত ঘরবাড়ি করে দিলেও তাঁরা এখানে দীর্ঘকালীন সময়ের জন্য বসবাস করবেন না। নিজের দেশে তাঁরা ফিরে যাবেনই। কেবল অপেক্ষা মিয়ানমারে তাঁদের পৈতৃক ভিটায় নিরাপদ বসবাসের নিশ্চয়তা। সুত্র:কালেরকন্ঠ

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারের ট্রেন দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরল শিশু আতাউল্লাহ

কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চারজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আতাউল্লাহ ...

কক্সবাজারে দেয়ালে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ‘হটাও ইউনূস, বাঁচাও দেশ’ স্লোগান, তোলপাড়

কক্সবাজারের অজ্ঞাত স্থানে দেয়ালে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ‘হাঠাও ইউনুস, বাঁচাও দেশ’ স্লোগান লেখা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা ...